
বিহারে বিধানসভা ভোটের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই কংগ্রেসের অনুপস্থিতি নিয়ে বিরোধী জোট মহাগাঁটবন্ধনের ভিতরে বাড়ছে অস্বস্তি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদব জোরকদমে প্রচারে ব্যস্ত থাকলেও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে আর দেখা যাচ্ছে না নির্বাচনী ময়দানে। শেষবার ১ সেপ্টেম্বর ‘ভোটাধিকার যাত্রা’র শেষ দিনে তিনি বিহারে সভা করেছিলেন। তারপর থেকে কার্যত উধাও রাহুল।
২৪৩ আসনের বিধানসভায় আরজেডি লড়ছে ১৪৩টি আসনে, কংগ্রেস ৬১টিতে। অথচ নির্বাচন মাত্র দশ দিন দূরে, আর কংগ্রেসের সর্বভারতীয় মুখের অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন বাড়ছে দলের ভিতরে ও বাইরে। টিকিট বণ্টন নিয়েও চলছে ক্ষোভ, লেনদেনের অভিযোগে বিক্ষোভ হয়েছে সদর দফতরে। অনেক প্রাক্তন বিধায়ক প্রকাশ্যে নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।
দলীয় প্রচারে রাহুল গান্ধীর অনীহা কংগ্রেস শিবিরে হতাশা বাড়াচ্ছে। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের মতো বিজেপি নেতৃত্ব একাধিক সভা সেরে ফেলেছেন। এর মধ্যেই দিল্লির একটি মিষ্টির দোকানে রাহুলের দেওয়ালি উদযাপনের ছবি ঘিরে শুরু হয়েছে সমালোচনা।
তবে কংগ্রেস নেতৃত্ব জানাচ্ছে, ছট পুজোর পর থেকেই প্রচার শুরু করবে দল। শেষ দফার ভোটে সীমাঞ্চল অঞ্চলে রাহুল, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ও মল্লিকার্জুন খাড়্গে একসঙ্গে প্রচার করবেন বলে পরিকল্পনা রয়েছে। যদিও এখনই বিরোধী জোটের শরিকরা ভাবছে এত দেরিতে মাঠে নামলে রাহুল গান্ধীর প্রভাব আদৌ ভোটে পড়বে তো?
বিহারের রাজনীতিতে রাহুলের এই ‘নীরবতা’ এখন বিরোধী শিবিরের জন্য বড় প্রশ্নচিহ্ন লড়াইয়ে আগ্রহহীনতা নাকি পরিকল্পিত কৌশল?
