
কানপুরে ওষুধের দাম নিয়ে ভয়ঙ্কর সংঘর্ষে রক্তাক্ত হল এক তরুণ। স্থানীয় ওষুধের দোকানে দাম নিয়ে তর্ক জেরে আইন বিভাগের এক ছাত্রকে নৃশংসভাবে আক্রমণ করে দোকানের কর্মীরা। গুরুতর জখম অবস্থায় বর্তমানে তিনি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।
রবিবার সন্ধ্যায় কানপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র অভিজিৎ সিং চান্দেল ওষুধ কিনতে যান স্থানীয় একটি দোকানে। ওষুধের দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে বলে প্রতিবাদ করেন তিনি। সেখান থেকেই শুরু হয় উত্তপ্ত বাকবিতণ্ডা। মুহূর্তের মধ্যেই তা হাতাহাতিতে গড়ায়।
দোকানের কর্মী অমর সিং ও তাঁর ভাই বিজয় সিং, সহকর্মী প্রিন্স রাজ শ্রীবাস্তব ও নিখিল মিলে অভিজিতের উপর হামলা চালায়। প্রথমে তাঁকে মারধর করে ফেলে দেওয়া হয় মাটিতে। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর পেট কেটে দেয় দুষ্কৃতীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় প্রাণ বাঁচাতে পালানোর চেষ্টা করলে অভিযুক্তরা ফের তাঁকে ধরে হাতের দুটি আঙুল কেটে দেয় বলে অভিযোগ।
অভিজিতের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর মাথায় একাধিক সেলাই পড়েছে এবং অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঘটনার পর চার অভিযুক্তই এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। পুলিশ ইতিমধ্যেই তাঁদের বিরুদ্ধে হত্যার চেষ্টা ও নৃশংস আক্রমণের মামলা দায়ের করেছে। তল্লাশি শুরু হয়েছে কানপুর জুড়ে।
এই নৃশংস ঘটনার পর এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওষুধের দোকানে দাম নিয়ে এমন হিংসা আগে কখনও দেখা যায়নি। তদন্তে নেমে পুলিশ দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে।
কানপুরে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠেছে। এক শিক্ষার্থীর উপর এমন নির্মম অত্যাচার প্রশাসনিক উদাসীনতারই ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
