
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক বিবাহিতা যুবতীর সঙ্গে অশ্লীল আচরণ ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে হাসপাতালের এক ওয়ার্ডবয়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার সময় ঘটনাটি ঘটে, যখন ওই যুবতী তাঁর অসুস্থ মায়ের সঙ্গে ফিমেল চেস্ট ওয়ার্ডে ছিলেন। অভিযোগ, অভিযুক্ত ওয়ার্ডবয় হঠাৎ ঘরে ঢুকে আলো নিভিয়ে তাঁকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। প্রতিবাদ করলে যুবতীকে ঘুষি ও চড় মারে অভিযুক্ত। চিৎকার শুনে আশপাশের রোগীর আত্মীয় ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ছুটে এলে অভিযুক্ত পালিয়ে যায়।
এরপর হাসপাতালেই নির্যাতিতা মহিলা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ওয়ার্ডবয় বর্ধমানের বাবুরবাগ কালীতলা এলাকার বাসিন্দা এবং গত ২১ বছর ধরে হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার ভোরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে শ্লীলতাহানি, আক্রমণ ও হুমকির অভিযোগ।
পুলিশ হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পেয়েছে। সোমবার ধৃতকে বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হলে দু’দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। এদিকে ঘটনার পর থেকেই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন। রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ, হাসপাতালে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাকর্মী নেই এবং ওয়ার্ডে প্রবেশের ক্ষেত্রে নজরদারির ঘাটতি রয়েছে।
অন্যদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং দোষী প্রমাণিত হলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এই ঘটনা রাজ্যজুড়ে হাসপাতাল নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। রোগী ও পরিজনদের দাবি, এমন ঘটনায় যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, তার জন্য প্রশাসনকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে।
