
চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে সাজানো হয়েছিল ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় জগদ্ধাত্রী’ থিমের মণ্ডপ। মঙ্গলবার বিকেলে হঠাৎই সেই বিশাল কাঠামো ভেঙে পড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে দর্শনার্থীদের মধ্যে। তীব্র বাতাসের ঝাপটায় মণ্ডপের একটি অংশ ধসে পড়ে বলে প্রাথমিক অনুমান। দুর্ঘটনার সময় মণ্ডপের ভেতরে এবং আশেপাশে বহু মানুষ উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার কাজে নামেন, পরে পুলিশ ও দমকলও ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কারও অবস্থা আশঙ্কাজনক নয় বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
অন্যদিকে, পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকেও ঝোড়ো হাওয়ায় ভেঙে পড়েছে এক জগদ্ধাত্রী পুজোর তোরণ। সৌভাগ্যবশত সেখানে কোনো হতাহতের খবর নেই, তবে গেটের নিচে থাকা কয়েকটি গাড়ি ও আলোকসজ্জা নষ্ট হয়েছে। দুই জায়গাতেই প্রশাসন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে এবং বাকি প্যান্ডেলগুলির নিরাপত্তা পরীক্ষা শুরু করেছে।
পুজোর মরশুমে এমন দুর্ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে হুগলি ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। চন্দননগরের ঐতিহ্যবাহী জগদ্ধাত্রী পুজো দেখতে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেন। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। কিন্তু উৎসবের আনন্দের মাঝেই এমন ঘটনায় উৎসবের আবহে নেমে এসেছে হতাশা। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, আবহাওয়ার সতর্কতা মেনে পুজো কমিটিগুলিকে মণ্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
সন্ধ্যা নাগাদ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও এলাকাজুড়ে এখনও আতঙ্ক বিরাজ করছে। পুজোর আনন্দে ফের স্বাভাবিক ছন্দ ফেরাতে তৎপর স্থানীয় প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবীরা।
