
স্বাধীন ভারতের প্রথম উপপ্রধানমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই পটেলের ১৫০তম জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার দেশজুড়ে পালিত হল ‘জাতীয় একতা দিবস’। গুজরাতের কেওয়াড়িয়ায় ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’র পাদদেশে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে আয়োজিত হল ঐক্যের প্যারেড। এই মঞ্চ থেকেই দেশবাসীর উদ্দেশে দৃঢ় বার্তা দিলেন নরেন্দ্র মোদি। তাঁর বক্তব্যে উঠে এল অনুপ্রবেশ, দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং জাতীয় ঐক্যের প্রসঙ্গ।
মোদির মতে, দীর্ঘদিন ধরে অনুপ্রবেশকারীদের কারণে দেশের জনসংখ্যার ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে, বিপন্ন হচ্ছে জাতীয় ঐক্য। সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে প্রথমবারের মতো দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। তাঁর বার্তা স্পষ্ট দেশের সম্পদ ও নিরাপত্তা যাতে কোনওভাবেই বেহাত না হয়, তার জন্য প্রয়োজন কঠোর ব্যবস্থা।
এই উপলক্ষে দিল্লিতেও পালন করা হয় পটেলের জন্মজয়ন্তী। রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী শ্রদ্ধা জানান ‘লৌহমানব’ পটেলকে। অমিত শাহ জানান, পটেলের দূরদর্শিতার ফলেই খণ্ডিত ভারত একসূত্রে বাঁধা পড়েছিল। রাজধানীতে ‘রান ফর ইউনিটি’ ম্যারাথনের সূচনা করে তিনি জাতীয় সংহতির বার্তা তুলে ধরেন।
দেশজুড়ে সরকারি ও বেসরকারি স্তরে পালিত হয় নানা কর্মসূচি। বিদ্যালয়, কলেজ ও সরকারি দপ্তরগুলিতে শপথ নেওয়া হয় জাতীয় ঐক্য ও সম্প্রীতির। কেওয়াড়িয়ার অনুষ্ঠান ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ছিল গোটা এলাকাজুড়ে।
জাতীয় একতা দিবসের এই অনুষ্ঠান যেন আবারও স্মরণ করিয়ে দিল একতার ভিত যত মজবুত হবে, ততই দৃঢ় হবে দেশের সুরক্ষা। মোদির বার্তা আজ জাতিকে মনে করিয়ে দিল, দেশের ঐক্য রক্ষাই এখন সময়ের সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।
