
দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা ব্লকের কে-প্লট এলাকার বাসিন্দা বছর তিরিশের মৎস্যজীবী সুদীপ বর গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গিয়েছে। বুধবার গভীর রাতে এই মর্মান্তিক ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন আগে ‘রাধা কৃষ্ণ’ নামের একটি মৎস্যজীবী ট্রলার ১৪ জন মৎস্যজীবীকে নিয়ে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে পাড়ি দেয়। মঙ্গলবার মান্থা আসার ঘোষণা হওয়ায় ট্রলারটি পাথরপ্রতিমার দিকে ফিরে আসছিল। সেই সময় বুধবার রাতে ট্রলারটি নোঙর করে যখন সবাই ঘুমাচ্ছিলেন, তখন হঠাৎই ট্রলারের মাঝি দেখতে পান যে সুদীপ বর হালের কাছে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছেন।
ঘটনার খবর সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনকে জানানো হয়। প্রশাসনের নির্দেশে শুক্রবার ভোরে মৃতদেহটি ট্রলারসহ পাথরপ্রতিমা থানা সংলগ্ন ঘাটে আনা হয়। পরে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদিকে পুরো ট্রলার এবং তাতে থাকা সকল মৎস্যজীবীকে প্রশাসনিক নজরদারিতে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক কারণ স্পষ্ট নয়।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত সুদীপের সঙ্গে একই ট্রলারে ছিলেন তাঁর কাকা। তিনি জানিয়েছেন, ট্রলারে কোনও অশান্তি বা বিবাদের ঘটনা ঘটেনি। শান্তিপূর্ণভাবেই কাজ চলছিল। তাই হঠাৎ করে আত্মহত্যার ঘটনায় হতবাক সকলে।
স্থানীয় মৎস্যজীবী মহলে গভীর সমুদ্রে ঘটে যাওয়া এই রহস্যমৃত্যু নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। প্রশাসন ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আত্মহত্যা না অন্য কোনও কারণ সেই রহস্যের পর্দা উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে পাথরপ্রতিমা উপকূল অঞ্চলের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সমুদ্রে মৎস্যজীবীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা প্রয়োজন, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা এড়ানো যায়।
