
রাজধানীর প্রশাসনিক মহলে ধীরে ধীরে স্থির হচ্ছে যে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) যদি বড় ধরনের আন্দোলনে নামে, তাহলে সরকারের একাধিক দফা সংগ্রহিত তালিকা অনুযায়ী দ্রুত массовরূপে গ্রেফতারের উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে। দায়িত্বপ্রাপ্ত সূত্র বলছে, জেলা পর্যায়ে প্রায় ৭ হাজার নেতা-কর্মীকে ইতিমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, অপহরণ, খুন-ছিনতাই যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এপরিকল্পনা ‘অপারেশন ক্লিন হার্ট-টু’ নামে আগেই সক্রিয় করা হতে পারে বলেও প্রশাসন ভাবছে।
নির্বাচনের আগে দলটির মধ্যে সক্রিয় প্রস্তুতির খবর পাওয়া গেছে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের গোড়ায় ভোটের পূর্বেই সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির মনস্থির হয়েছে। অন্যদিকে প্রশাসন সতর্ক, বলছে যে নির্বাচনের পরিবেশ বানাতে যেকোনো আন্দোলনই পালনীয় আস্ফালন হিসেবে দেখা হবে এবং সে অনুযায়ী দ্রুত প্রতিক্রিয়া নেওয়ার প্রস্ততি রয়েছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এই দুই নেতা-দল আর প্রশাসনের মধ্যে উত্তেজনার পরতে পরতে বেড়েই চলেছে।
এদিকে সরকারের উপদেষ্টা পর্যায়ে একাধিক বৈঠকের পর এ সমস্যা বিশেষভাবে উঠে এসেছে। উপদেষ্টা ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন সাইবার হামলা কিংবা নির্বাচনের বানচাল করার চক্রান্তের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখনও এর প্রতি কোনো গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন আসেনি।
রাজনৈতিক পরিবেশ এখন এক রকম দ্বিমুখী: বিএনপি আন্দোলনের পথে নামতে চাইছে, আর প্রশাসন তা মোকাবিলায় সময় থাকতে পরিকল্পনা হাতে নিয়ে রেখেছে। ফলে নির্বাচনপ্রথম এই সময়টাতে উত্তেজনা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
