
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির জেরে চাকরি হারানো হাজার হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর জন্য অবশেষে পদক্ষেপ নিল শিক্ষা দফতর। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, যাঁরা ‘আনটেন্টেড’ বা যোগ্য বলে বিবেচিত, তাঁদের মধ্যে অনেকেই পুরনো চাকরিতে ফিরতে আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদনের ভিত্তিতে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রায় ২০০০ শিক্ষক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে প্রায় সাড়ে পাঁচশ জনকে ফেরানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
২০১৬ সালের এসএসসি পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত বহু শিক্ষক দীর্ঘদিন চাকরিহারা অবস্থায় ছিলেন। এবার তাঁরা আবার স্কুলে ফিরছেন। তবে এই ফেরার প্রক্রিয়া ঘিরেই দেখা দিয়েছে নতুন সমস্যা। কারণ, যেসব শিক্ষক ইতিমধ্যে অন্য সরকারি চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁরা আবার পুরনো পদে ফিরে যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলিতে শিক্ষক সঙ্কট তৈরি হয়েছে।
অনেক স্কুলেই এক বা দুই জন করে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক রয়েছেন। হঠাৎ তাঁদের মধ্যে কেউ চাকরি ছেড়ে গেলে পাঠদান কার্যত থমকে যাচ্ছে। বিশেষত বিজ্ঞান, গণিত ও ইংরেজির মতো বিষয়ে শিক্ষক সঙ্কট তীব্র আকার নিয়েছে। এতে পাঠদানে ব্যাঘাত ঘটছে, বিপাকে পড়ছেন ছাত্রছাত্রীরা এবং চিন্তায় রয়েছেন প্রধানশিক্ষকরা।
শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গেছে, ফেরত আসা চাকরিহারারা তাঁদের পুরনো পদে যোগ দিচ্ছেন আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, যাঁরা শিক্ষকতার চাকরির আগে অন্য সরকারি চাকরিতে যুক্ত ছিলেন এবং বৈধভাবে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে নিয়োগ পেয়েছিলেন, তাঁরা ইচ্ছা করলে পূর্ববর্তী চাকরিতে ফিরতে পারবেন। সেই নির্দেশ মেনেই রাজ্য সরকার পদক্ষেপ শুরু করেছে।
তবে শিক্ষাক্ষেত্রে এই নতুন অস্থিরতা রাজ্যের স্কুল পরিচালনায় বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে। এখন দেখার বিষয়, শিক্ষক ঘাটতির এই সমস্যা শিক্ষা দফতর কত দ্রুত সামাল দিতে পারে।
