
চন্দননগরের ঐতিহ্যবাহী জগদ্ধাত্রী পূজা আজ বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হলো। এবার পাঁচ দিনের এই পূজা শহরের ইতিহাসে একদিনের পাওনা আনন্দ এনে দিয়েছে। দিনের প্রথম দিকে সিঁদুর খেলা থেকে শুরু করে মণ্ডপে বিশাল বিশাল ঠাকুরকে কাঁধে তুলে লরিতে তোলা দৃশ্য দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। চোখে না দেখলে এই দৃশ্যকে বিশ্বাস করা মুশকিল।
দিনের ভাসান প্রক্রিয়ায় ঠাকুরের লরিগুলো গঙ্গার উদ্দেশ্যে ধীরে ধীরে রওনা হয়। প্রতিটি মণ্ডপের ভলেন্টিয়াররা বিভিন্ন ধরণের বাজনা, নৃত্য ও আবির খেলার মধ্য দিয়ে ঠাকুরকে গঙ্গার ঘাটে পৌঁছে দেন। গঙ্গার পাড়ে দাঁড়িয়ে দর্শকরা এই দৃশ্য উপভোগ করেছেন। লরিতে বসানো ঠাকুরকে ঘাটে পৌঁছে বিসর্জন দেওয়া এক নজির গড়েছে চন্দননগরে।
রাতের আলোয় সাজানো শোভাযাত্রা শহরের অন্যরকম রূপে দর্শনার্থীদের মন মাতিয়ে তোলে। যারা রাতের শোভাযাত্রায় অংশ নেননি, তারাও দিনের ভাসান ও বিসর্জনের দৃশ্য উপভোগ করতে পেরেছেন। প্রতিটি পূজা কমিটি দিনের বেলায় তাদের ঠাকুরকে প্রথমে বরণ করে এবং পরবর্তীতে বিশাল লরিতে তুলে ভাসানের জন্য প্রেরণ করে। গঙ্গার ঘাটে পৌঁছে লরি থেকে ঠাকুরকে গঙ্গায় বিসর্জন দেওয়া হয়।
চন্দননগরের এই ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান প্রতিবারই দর্শকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে থাকে। পাঁচ দিনের উৎসবের শেষ দিন হলেও শহরের মানুষ উৎসবমুখর আনন্দ উপভোগ করতে পেরেছে। প্রতিটি মণ্ডপের রঙিন সাজসজ্জা, সিঁদুরের খেলা, নৃত্য ও আবির মেলবন্ধন পুরো শহরকে উৎসবমুখর করে তোলে।
