
দক্ষিণ ২৪ পরগনার নতুন জেলা শাসক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর অরবিন্দ কুমার মিনা প্রথমবার গঙ্গাসাগর সফরে এলেন। শনিবার সকালে তিনি নামখানা পয়েন্ট থেকে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে গঙ্গাসাগর যাত্রা শুরু করেন। সঙ্গে ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সহ-সভাপতিও।
নতুন দায়িত্বের পর এটাই ছিল তাঁর প্রথম মাঠপর্যায়ের পরিদর্শন। গঙ্গাসাগরে পৌঁছে কপিলমুনি মন্দিরে পূজা অর্চনা করেন জেলা শাসক। এরপর তিনি গঙ্গাসাগরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন, বিশেষ করে সেসব অঞ্চল যেখানে নদীভাঙনের ফলে ভূমি ক্ষয় স্পষ্ট। সাম্প্রতিক সময়ে সাগরের একাংশ ভেঙে পড়ায় প্রশাসনের কাছে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কপিলমুনি মন্দিরকে সুরক্ষিত রাখা এবং আসন্ন গঙ্গাসাগর মেলাকে নির্বিঘ্ন করা।
জানা গেছে, জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যেই নদীভাঙন রোধে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। সেই সঙ্গে পূর্ণার্থীদের নিরাপত্তা, যাতায়াত, জল ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার বিষয়েও পর্যালোচনা হয় এই সফরে। গঙ্গাসাগর মেলার সময় প্রতি বছর লক্ষাধিক মানুষ সমবেত হন, তাই ভিড় ও ভাঙনের সম্ভাবনা একসঙ্গে সামলাতে এবার প্রশাসন আরও সতর্ক থাকতে চাইছে।
অরবিন্দ কুমার মিনা মাঠপর্যায়ে বাস্তব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলিকে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে ভাঙনপ্রবণ এলাকাগুলিতে অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ, আলো ব্যবস্থা এবং পথ সংস্কারের পরিকল্পনাও নেন।
দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই জেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থল গঙ্গাসাগর থেকে কাজের সূচনা করে জেলা শাসক স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন উন্নয়ন ও জনসুরক্ষাকেই অগ্রাধিকার দিতে চান তিনি।
