
ভারতে এসআইআর কার্যকর হওয়ার আতঙ্কে একদল বাংলাদেশি তড়িঘড়ি করে দেশে ফেরার চেষ্টা করতে গিয়ে ধরা পড়ল বিএসএফের জালে। শুক্রবার বসিরহাটের স্বরূপনগর থানার বিথারী-হাকিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তারালি সীমান্ত থেকে আটক হয় ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক। জানা গেছে, ধৃতদের মধ্যে চারজন মহিলা, তিনজন পুরুষ ও চারজন শিশু রয়েছে।
বিএসএফের ১৪৩ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা তাঁদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারেন, সবাই ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে শুরু হওয়া এসআইআর প্রক্রিয়ার ভয়ে তাঁরা অবৈধভাবে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। পরে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী তাঁদের স্বরূপনগর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
অন্যদিকে, কোচবিহারের হলদিবাড়ি থেকেও দুই বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছে স্থানীয় পুলিশ। তাঁদের একজনের নাম সরজিত বালা, বাড়ি বাংলাদেশের ফরিদপুরে। তিনি গত দেড় বছর ধরে একটি চা-বাগানে কাজ করছিলেন। অপরজন নিলু প্রামানিক, রংপুর জেলার বাসিন্দা, যিনি প্রায় চার বছর আগে এক ভারতীয় মহিলাকে বিয়ে করে ভারতে বসবাস করছিলেন। নিলু, তাঁর স্ত্রী ও সন্তানসহ তিনজনকেই আটক করা হয়। আদালত নিলু ও সরজিতকে চার দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে এবং মহিলাকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
একই দিনে পরপর বাংলাদেশিদের এভাবে ধরা পড়ার ঘটনায় সীমান্ত এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন মনে করছে, এসআইআর নিয়ে তৈরি হওয়া আতঙ্কই এর মূল কারণ। সীমান্তরক্ষীরা নিরাপত্তা আরও কড়া করেছে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের অবৈধ অনুপ্রবেশ বা দেশত্যাগের চেষ্টা রোধ করা যায়।
