
দেশজুড়ে সন্ত্রাসবাদের গ্রাফ নেমে এসেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের মতে, জম্মু-কাশ্মীর বাদ দিলে গত এক দশকে দেশের অন্য কোনও প্রান্তে বড়সড় জঙ্গি হামলার নজির নেই। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার দৃঢ়তা এবং গোয়েন্দা তৎপরতার ফলেই এই স্থিতি অর্জিত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
দিল্লিতে আয়োজিত সর্দার প্যাটেল স্মারক বক্তৃতায় ডোভাল দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থার শক্তি তুলে ধরেন। তাঁর বিশ্লেষণ অনুযায়ী, পাকিস্তান-সমর্থিত সংঘাত এখনও কাশ্মীর সীমান্তে সক্রিয় থাকলেও তা সফলভাবে রুখে দিচ্ছে ভারতীয় বাহিনী। সাম্প্রতিক সময়ে অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায়ও দেখা গেছে, শত্রুপক্ষের পরিকল্পনা ভেস্তে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।
একই সঙ্গে বাম উগ্রবাদ নিয়েও আশাবাদী কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা মহল। ২০১৪ সালের তুলনায় বর্তমানে মাত্র ১১ শতাংশ এলাকায় নকশাল প্রভাব টিকে আছে। বহু জেলা ‘সুরক্ষিত এলাকা’ হিসেবে ঘোষিত হয়েছে। নিরাপত্তার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি এবং প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে।
ডোভালের মতে, নিরাপত্তা মানে শুধু সেনা বা অস্ত্র নয় এটি নাগরিকের মানসিক নিশ্চয়তাও। ভারত এখন এমন এক অবস্থানে পৌঁছেছে, যেখানে হুমকি আসলে তা মোকাবিলার ক্ষমতা ও প্রতিক্রিয়া জানানোর ইচ্ছাশক্তি দুটোই দৃঢ়।
প্রতিবেশী দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষিতে ভারতের স্থিতিশীলতা ও প্রস্তুতিকে তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল সব জায়গায় যখন টানাপোড়েন চলছে, তখন ভারতের নিরাপত্তা কাঠামো এক দৃঢ় ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে আছে। সরকারের লক্ষ্য, ২০২৬ সালের মধ্যে দেশকে সম্পূর্ণভাবে বামপন্থী উগ্রবাদমুক্ত করা এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় স্থায়ী সাফল্য নিশ্চিত করা।
