
রাজস্থানের জয়পুরে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে। শনিবার স্কুলের পাঁচ তলা থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় ওই পড়ুয়ার। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ এটি আত্মহত্যা হিসেবে মনে করছে, তবে পরিবারের দাবি, তাদের কন্যা আত্মহত্যার পক্ষে নয়। তারা অভিযোগ করেছেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ এই ঘটনায় কিছু লুকোনোর চেষ্টা করেছেন।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ছাত্রীটি রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে ছিল। এরপরই তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। অভিযোগ উঠেছে, স্কুল কর্তৃপক্ষ মেঝের রক্তের দাগ মুছে দিয়েছেন। পরিবারের দাবি, ঘটনাস্থলে গিয়ে তারা রক্তের কোনো চিহ্ন পাননি। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলা রুজু করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।
মানসরোবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মৃত ছাত্রীর পরিবার স্কুল কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা স্কুলের সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছেন। পরিবারের কাছের একজন জানান, ঘটনাটি শুনে তারা স্কুলে যান, কিন্তু রক্তের দাগ মুছে ফেলা হয়েছিল।
বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, ছাত্রীটি ক্লাসের পাশের ওয়াশরুমে যাওয়ার অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু সে সিঁড়ি বেয়ে উপরের তলায় যায় এবং সেখান থেকে লাফ দেয়। অধ্যক্ষের দাবি, ছাত্রীটি পড়াশোনায় ভালো ছিল এবং তার আচরণে কোনো অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা যায়নি। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়, কিন্তু চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ছাত্রীর বাবা অভিযোগ করেছেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে কোনো তথ্য দেননি এবং ঘটনাস্থলে যেতে দেয়নি। স্কুলশিক্ষামন্ত্রী ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ঘটনায় স্কুলে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এবং মৃত্যুর কারণ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ তদন্তকারীদের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিচ্ছে।
ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত চলমান, এবং পুলিশ ও শিক্ষা দপ্তর মিলিয়ে সঠিক তথ্য উদঘাটনের চেষ্টা করছে।
