
ক্যারিবিয়ান সমুদ্রে মার্কিন সেনাবাহিনী একটি জাহাজ ধ্বংস করেছে। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, জাহাজটিতে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। খবর অনুযায়ী, ওই জাহাজটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের নিয়ন্ত্রণে ছিল এবং মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তবে কোন সংগঠন বা গোষ্ঠীর নাম প্রকাশ করা হয়নি।
মার্কিন প্রতিরক্ষাসচিব পিট হেগসেথ বলেন, গোয়েন্দাদের তথ্য অনুযায়ী জাহাজটি অবৈধ মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিল। জাহাজটি মার্কিন তল্লাশির লক্ষ্য হিসেবে ধ্বংস করা হয়েছে যাতে মাদক মার্কিন বাজারে পৌঁছাতে না পারে। হেগসেথ আরও জানিয়েছেন, এই অভিযান মাদক-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপের অংশ।
মার্কিন সেনার ক্যারিবিয়ান অভিযান নতুন নয়। গত সেপ্টেম্বর থেকে অন্তত ১৫টি হামলা চালানো হয়েছে, যেগুলিতে ৬৪ জন নিহত হয়েছেন। তবে অনেক ক্ষেত্রে প্রমাণ পাওয়া যায়নি যে তারা সত্যিই মাদক পাচারে যুক্ত ছিলেন কি না।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পর থেকে মাদক ও সন্ত্রাসবাদ বিরোধী কৌশল আরও কঠোর হয়েছে। ভেনেজুয়েলার উপকণ্ঠে নৌসেনা মোতায়েন করা হয়েছে, এবং বিশ্বের বৃহত্তম যুদ্ধজাহাজ জেনারেল ফোর্ডও ওই অঞ্চলে রাখা হয়েছে। এর আগে মার্কিন সেনারা একটি ডুবোজাহাজ ধ্বংস করে দাবি করেছিলেন যে এতে মাদক সন্ত্রাসবাদীরা ছিলেন এবং তারা গুপ্তভাবে মাদক আমেরিকায় আনার চেষ্টা করছিল।
মার্কিন প্রশাসনের এই ধরনের অভিযান মাদকপাচার ও সন্ত্রাস মোকাবেলায় নীতি কঠোরতার প্রতিফলন। ক্যারিবিয়ান সমুদ্রে সামরিক উপস্থিতি বজায় রাখা এবং মাদক চক্রকে ভাঙার মাধ্যমে মার্কিন সেনা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে।
মোটের উপর, সাম্প্রতিক হামলায় তিনজনের মৃত্যু হলেও মার্কিন প্রশাসন তা ভেন্ডারদের ক্ষতি ও মাদক পাচারের প্রতিরোধ হিসেবে দেখছে। এই ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
