
যুক্তরাষ্ট্রে ৩৩ বছর পর নতুন করে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা এই পরীক্ষার নির্দেশনা দিয়ে তিনি দেশটির প্রতিরক্ষা নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, এই পরীক্ষার সময় কোনও বিস্ফোরণ ঘটানো হবে না। এটি শুধুমাত্র পরমাণু অস্ত্রের সব উপাদান পরীক্ষা করার প্রক্রিয়া, যাতে জানা যায় অস্ত্রগুলো নির্ধারিত সময় ঠিকভাবে কাজ করতে সক্ষম কি না।
পরীক্ষার মূল লক্ষ্য হলো অস্ত্রগুলোর কার্যকারিতা যাচাই করা। আধুনিক সময়েও পারমাণবিক অস্ত্রের নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত রাখা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। হোয়াইট হাউসের মতে, এই পরীক্ষা সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং কোন রকম প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট ক্ষতি ঘটাবে না। ট্রাম্প প্রশাসন আগের দশকগুলোর পরীক্ষার তথ্য সংগ্রহ করে বর্তমান পরীক্ষার পরিকল্পনা করেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই সিদ্ধান্তের পেছনে আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটও প্রভাব ফেলেছে। রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে সাম্প্রতিক সম্পর্ক, গোপনভাবে তারা যে পরমাণু পরীক্ষা চালাচ্ছে এমন দাবিও পরীক্ষার পেছনের কারণ হতে পারে। তবে ট্রাম্প জানাননি, ভবিষ্যতে মাটির নীচে বিস্ফোরণ ঘটানো হবে কি না।
এছাড়া, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ দক্ষিণ কোরিয়া সফরের আগে এসেছে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা আশঙ্কা করছেন, এটি বিশ্ব রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়াতে পারে। তবে হোয়াইট হাউসের মতে, পরীক্ষার মাধ্যমে শুধু অস্ত্রগুলোর প্রযুক্তিগত কার্যকারিতা যাচাই করা হবে, কোনও আক্রমণাত্মক পরিকল্পনা এতে নেই।
পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা বন্ধ থাকা ৩৩ বছরের এই দীর্ঘ সময়ের পরে যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ বিশ্বের নিরাপত্তা দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি কেবল প্রতিরক্ষা শক্তি নিশ্চিতকরণের প্রচেষ্টা, তবে আন্তর্জাতিক মঞ্চে এর প্রভাব নিয়ে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক আলোচনার সম্ভাবনা আছে।
