
দেশজুড়ে আর্থিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপে নামল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। রিলায়্যান্স এডিএজি গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান অনিল আম্বানির বিরুদ্ধে তদন্তে ইডি প্রায় ৩,০৮৪ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর সংস্থাগুলির আর্থিক অনিয়ম এবং ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে তদন্ত চলছিল। সেই মামলার অংশ হিসেবেই এই বিশাল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ইডির রিপোর্ট অনুযায়ী, চারটি পৃথক নির্দেশিকার ভিত্তিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির তালিকায় রয়েছে মুম্বইয়ের পালি হিলের বিলাসবহুল অম্বানি আবাসন, দিল্লির মহারাজা রণজিৎ সিংহ মার্গে অবস্থিত রিলায়্যান্স সেন্টারের একটি জমি, পাশাপাশি নয়ডা, গাজিয়াবাদ, পুণে, ঠাণে, হায়দরাবাদ, চেন্নাই এবং অন্ধ্রপ্রদেশের পূর্ব গোদাবরীর একাধিক বাণিজ্যিক সম্পত্তি।
তদন্তে উঠে এসেছে, ২০০৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে অনিল আম্বানির সংস্থা ইয়েস ব্যাংকসহ একাধিক ব্যাংক থেকে বিপুল অঙ্কের ঋণ নিয়েছিল। অভিযোগ, ঋণ অনুমোদনের প্রক্রিয়ায় একাধিক ব্যাংকিং নিয়ম ভাঙা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট কিছু ব্যক্তিকে আর্থিক সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এসবিআই সহ আরও বেশ কিছু সরকারি ব্যাংকও ওই সংস্থার বিরুদ্ধে ঋণ জালিয়াতির অভিযোগ এনেছে।
এর আগে চলতি বছরের শুরুতেই অনিল আম্বানিকে দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা দিতে হয়েছিল ১৭ হাজার কোটির ঋণ জালিয়াতি মামলার তদন্তে। বর্তমানে ইডির পাশাপাশি সিবিআইও পৃথক তদন্ত চালাচ্ছে।
একসময় ভারতের অন্যতম শীর্ষ শিল্পপতি হিসেবে পরিচিত ছিলেন অনিল আম্বানি। কিন্তু সংস্থার আর্থিক ভাঙন, বিশাল ঋণ এবং একের পর এক আইনি জট তাঁর ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যকে প্রায় ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে। এবার ইডির এই নতুন পদক্ষেপে আরও চাপে পড়লেন এই শিল্পোদ্যোগী। এখন নজর আদালতের পরবর্তী নির্দেশ ও ইডির ভবিষ্যৎ তদন্তে।
