
প্রায় আড়াই বছর পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় পেল নতুন স্থায়ী উপাচার্য। সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। ২০২৩ সালের মে মাসে প্রাক্তন উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের অবসর নেওয়ার পর থেকেই প্রশাসনিক টালমাটাল অবস্থায় ছিল এই খ্যাতনামা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষক নিয়োগে জটিলতা, নিরাপত্তা সংকট এবং ছাত্র রাজনীতির অস্থিরতা মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ গত কয়েক মাস ধরে ছিল বিতর্কের কেন্দ্রে।
নতুন উপাচার্যের লক্ষ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা ও শিক্ষার মান উন্নয়ন করা। তিনি প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করতে উদ্যোগী হয়েছেন। পাশাপাশি ডিসেম্বরের মধ্যে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজনের কথাও জানিয়েছেন তিনি।
নিরাপত্তা জোরদারের দিকেও বিশেষ নজর দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি দুটি ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত ৭০টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের জন্য অর্থ মঞ্জুর হয়েছে। নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা বাড়ানো এবং ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শুধুমাত্র একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, এটি বাংলার গর্ব। তাই এখানকার পরিবেশকে আরও নিরাপদ ও গুণগতমানসম্পন্ন করতে তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তাঁর নেতৃত্বে নতুন করে আশাবাদী শিক্ষক ও ছাত্রসমাজের একাংশ।
সম্প্রতি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস যাদবপুরসহ রাজ্যের ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নাম অনুমোদন করেন। এর মধ্যে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে আশুতোষ ঘোষ, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে উদয় বন্দ্যোপাধ্যায়, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে আশিস ভট্টাচার্য, সাধু রামচাঁদ মুর্মু বিশ্ববিদ্যালয়ে চন্দ্রদীপা ঘোষ এবং বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবু তালেব খান দায়িত্ব নেন।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর স্থায়ী উপাচার্য পাওয়ায় যাদবপুরে নতুন করে শুরু হলো স্থিতিশীলতা ও পুনর্গঠনের আশা।
