
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে ইউক্রেনের হাতে শক্তিশালী টমাহক দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়া আপাতত অনিশ্চিত। পেন্টাগনের ছাড়পত্র থাকলেও ট্রাম্প নিজেই স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, বর্তমানে এই ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের পরিকল্পনা নেই। এর আগে একাধিকবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির অনুরোধকে প্রত্যাখ্যান করেছিল ট্রাম্প।
টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র ২৫০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁত নিশানা দিতে সক্ষম। ইউক্রেন আশা করেছিল, এই অস্ত্র ব্যবহার করলে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অবস্থানকে প্রভাবিত করা সম্ভব হবে। গত ১৭ অক্টোবর ট্রাম্পের সঙ্গে জ়েলেনস্কির বৈঠকেও এই বিষয়টি আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু ট্রাম্প মনে করছেন, বর্তমান সময়ে যুদ্ধের তীব্রতা বাড়িয়ে দেওয়া ঠিক হবে না।
পেন্টাগন ইতিমধ্যে জানিয়েছে, ইউক্রেনকে এই ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কোনো সামরিক বাধা নয়। তবে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে। রাশিয়ার পক্ষ থেকেও টমাহক সরবরাহের বিষয়টি নিয়ে সতর্কতা প্রকাশ করা হয়েছে। তারা মনে করছে, শুধুমাত্র এই অস্ত্র সরবরাহ করে যুদ্ধের সমাধান সম্ভব নয়। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দাবি করেছে, আকাশে টমাহক ধ্বংস করার ক্ষমতা তাদের রয়েছে, তবে ইউক্রেনের কাছে যথাযথ নৌবাহিনী নেই।
ট্রাম্পের ‘না’ সত্ত্বেও ভবিষ্যতে পরিস্থিতি পরিবর্তিত হলে তিনি পুনর্বিবেচনা করতে পারেন। এই সিদ্ধান্ত রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে বৈশ্বিক কূটনৈতিক ভারসাম্য ও যুদ্ধের গতিপ্রকৃতিকে প্রভাবিত করবে। টমাহক বিতর্ক যুদ্ধ থামানো এবং উত্তেজনা কমানো উভয় ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণ করছে।
এই অবস্থায়, ইউক্রেনের অনুরোধ এবং পেন্টাগনের অনুমোদনের মধ্যে ট্রাম্পের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো আন্তর্জাতিক মিডিয়ার নজরদারির বিষয়।
