
উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রাম চাঞ্চল্যকর ট্রলিব্যাগ কাণ্ডে অবশেষে মিলল বিচার। সোমবার বারাসত আদালত আরতী ঘোষ ও তার মেয়ে ফাল্গুনী ঘোষকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে। দীর্ঘ তদন্ত ও সাক্ষ্যপ্রমাণের পর আদালত জানায়, পিসি ও শাশুড়িকে খুন করে দেহ লোপাটের চেষ্টায় যুক্ত ছিলেন এই মা-মেয়ে।
আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, যাবজ্জীবন কারাবাসের পাশাপাশি আরতী ও ফাল্গুনীকে দিতে হবে এক লক্ষ টাকা জরিমানা। জরিমানা না দিলে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে তাদের। পাশাপাশি তথ্য-প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৩৮/৩ ধারায় প্রত্যেককে সাত বছরের অতিরিক্ত সাজা ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই সাত বছরের শাস্তি ভোগের পরই শুরু হবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
২০১৯ সালে মধ্যমগ্রামের ট্রলিব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় এক মহিলার দেহাংশ। ঘটনার তদন্তে বেরিয়ে আসে, পারিবারিক অশান্তির জেরে পিসি ও শাশুড়িকে খুন করেছিলেন আরতী ও তার মেয়ে। দেহ গোপন করার জন্য টুকরো করে ট্রলিব্যাগে ভরে ফেলে দেন রেলস্টেশনের কাছে। সেই সময় গোটা রাজ্য কেঁপে ওঠে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে।
দীর্ঘ চার বছরের বিচারপর্ব শেষে অবশেষে আজ রায় ঘোষণা করল বারাসত আদালত। আইনজীবী পক্ষের বক্তব্য অনুযায়ী, এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন করা হবে।
মধ্যমগ্রামের এই ট্রলিব্যাগ কাণ্ড শুধু স্থানীয় নয়, রাজ্যজুড়েই আলোড়ন তুলেছিল। আদালতের এই রায় সেই আলোচিত ঘটনার পরিণতি টেনে আনল বিচার ও শাস্তির সীমায়। মা-মেয়ের ঠান্ডা মাথার হত্যাকাণ্ড আজও মানুষকে নাড়া দেয় আর আজ, রায় ঘোষণার সঙ্গে সেই ভয়াবহ ঘটনার অধ্যায়ে শেষ টানা হল।
