
নদিয়ার চাপড়ায় নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ ফেনসিডিল বাজেয়াপ্তকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাতে উত্তেজনা ছড়াল। ঘটনাটি ঘটে কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার চাপড়া থানার সীমানগর এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সন্দেহজনকভাবে একটি গাড়ি থেকে প্যাকেট নামানো হচ্ছিল। এলাকাবাসী তাতে ফেনসিডিল দেখতে পেয়ে খবর দেয় থানায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্যাকেটগুলি বাজেয়াপ্ত করে থানার গাড়িতে তোলার সময় হঠাৎই উপস্থিত হয় বিএসএফের ৩২ ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা। কে এই অভিযানের দায়িত্ব নেবে, তা নিয়ে দুই বাহিনীর মধ্যে শুরু হয় বচসা। মুহূর্তেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং সংঘর্ষে রূপ নেয়। হাতাহাতিতে আহত হন তিন পুলিশকর্মী, যাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের দ্রুত চাপড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সংঘর্ষের খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় অতিরিক্ত পুলিশবাহিনী এবং বিএসএফের একটি নতুন দল। উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে এক বিএসএফ কর্মীকে আটক করে পুলিশ। পরে দুই বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, সীমান্ত পেরিয়ে ফেনসিডিল পাচারের খবর পেয়েই বিএসএফ অভিযানে নামে। অন্যদিকে, পুলিশের দাবি তাঁরা আইনি প্রক্রিয়ায় সিরাপ বাজেয়াপ্ত করেছিলেন, কিন্তু বিএসএফ জোর করে হেফাজতে নিতে চেয়েছিল।
এই ঘটনার পর কেন্দ্র ও রাজ্য বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও সরকারি ভাবে এখনও কেউ মন্তব্য করেননি, তবে প্রশাসনিক মহলে এই সংঘর্ষকে সীমান্ত এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে বড় সতর্কবার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
