
পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা বা এসআইআর শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উঠে এসেছে চমকপ্রদ তথ্য। রাজ্যের প্রায় ৭ কোটি ভোটারের মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র ৩২ শতাংশের তথ্য পুরনো নথির সঙ্গে মিলেছে। অর্থাৎ, প্রায় ২ কোটি ৪৫ লাখ ভোটারের তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাই হয়ে গেছে। বাকি ৬৮ শতাংশ ভোটারের তথ্য যাচাইয়ের অপেক্ষায় রয়েছে।
এবারের ‘ম্যাপিং’-এর মাধ্যমে দেখা হচ্ছে, নতুন ভোটার তালিকায় থাকা ভোটারের নাম ২০০২ সালের শেষ এসআইআরের তালিকার সঙ্গে মিলে কি না। মিল পাওয়া গেলে ভোটারকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চিহ্নিত করা হবে এবং কোনো অতিরিক্ত নথি জমা দিতে হবে না। তবে যাদের নাম বা পারিবারিক তথ্য মিলেনি, তাঁদের ক্ষেত্রে বৈধ নথি জমা দিতে হবে। এসব নথি যাচাইয়ের পরই ভোটার তালিকায় নাম নিশ্চিত হবে।
বিএলওরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই কাজ শুরু করেছেন। রাজনৈতিক মহলে এসআইআর নিয়ে উত্তাপ তৈরি হয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, ভোটের আগে এমন সমীক্ষা করে বৈধ ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা হতে পারে। অন্যদিকে বিজেপি বলছে, এটি ভুয়ো ভোটার চিহ্নিত করার উদ্যোগ, যাতে ভোট প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হয়।
এই সমীক্ষার পাশাপাশি আবহাওয়ায় শীতের প্রথম আমেজ ধীরে ধীরে অনুভূত হচ্ছে। কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তরবঙ্গের তাপমাত্রা কিছুটা কম, রাতের দিকে হালকা কুয়াশা দেখা দিতে পারে। বঙ্গোপসাগরে নতুন নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে, যা বাংলাদেশ ও মায়ানমার উপকূলের দিকে এগোতে পারে। আগামী কয়েকদিন শুষ্ক আবহাওয়া থাকলেও শুক্রবার থেকে কিছু জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক এই প্রক্রিয়া নিশ্চিত করছে যে, নির্বাচন স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন হবে এবং ভোটারের অধিকার সংরক্ষিত থাকবে। একই সঙ্গে ভোটাররা প্রক্রিয়ায় সক্রিয় অংশগ্রহণ করলে তাদের নাম নিশ্চিতভাবে তালিকায় থাকবে।
