
ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) নিয়ে উত্তপ্ত হচ্ছে রাজ্য রাজনীতি। সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি ঘিরে সরগরম রাজনৈতিক মহল। মঙ্গলবার আদালত নির্বাচন কমিশনকে নোটিস জারি করেছে এবং আগামী ২৬ নভেম্বর ফের শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। তার আগে বুধবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আদালতে তৃণমূল পক্ষ থেকে দু’টি মূল প্রশ্ন উত্থাপন করা হবে।
তৃণমূলের মতে, আসন পুনর্বিন্যাসের (ডিলিমিটেশন) পরে ২০০২ সালের ভোটার তালিকা আর কার্যকর নয়, কারণ তার পরেই বহু পুরনো আসনের অস্তিত্ব বদলে গিয়েছে এবং নতুন আসন তৈরি হয়েছে। তাই ওই তালিকাকে সূচক হিসেবে ধরা বেআইনি বলে দাবি রাজ্যের শাসক দলের। পাশাপাশি তৃণমূলের দ্বিতীয় অভিযোগ, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে যাঁরা ভোট দিয়েছেন তাঁদের নাম কীভাবে রাতারাতি বাদ পড়ল, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হবে আদালতে।
এই মামলায় তৃণমূলের পাশাপাশি ডিএমকে, সিপিএম ও কংগ্রেসও পিটিশন করেছে। ফলে মামলাটি এখন জাতীয় পর্যায়ে গুরুত্ব পাচ্ছে। রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, আদালতে যদি সরাসরি স্থগিতাদেশ না-ও আসে, তাহলেও কমিশনের প্রক্রিয়ায় নতুন সংযোজন বা সংশোধনের সুযোগ তৈরি হতে পারে।
এরই মধ্যে রাজ্যের সর্বত্র বিএলও-রা বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনুমারেশন ফর্ম বিলি শুরু করেছেন। গ্রাম থেকে শহর সব জায়গায় শুরু হয়েছে ভোটার তালিকার যাচাই প্রক্রিয়া। যারা বাইরে থাকেন, তাঁদের জন্য অনলাইন ফর্ম পূরণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তবে অনেক এলাকায় নথি যাচাই ও নাম বাদ যাওয়ার ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
এসআইআর-কে ঘিরে এখন রাজ্যজুড়ে প্রশাসনিক তৎপরতা এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা দুই-ই সমানভাবে স্পষ্ট। আগামী ২৬ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের রায় কী পথে যায়, সেটিই এখন সকলের নজরে।
