
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। কাশ্মীরের শ্রীনগরে এক চিকিৎসকের বিয়ের আসরই নাকি পরিণত হয়েছিল জঙ্গি মডিউলের গোপন বৈঠকে। এই সূত্র ধরেই উত্তরপ্রদেশ পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন দুই চিকিৎসক।
তদন্তকারীদের দাবি, ক্বাজিগুন্ডের বাসিন্দা ও অভ্যন্তরীণ চিকিৎসাবিদ ডা. আদিল আহমদ রাথার ছিলেন গোটা মডিউলের মূল পরিকল্পনাকারী। গত ৬ নভেম্বর সাহারানপুর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। এরপর তাঁর বিবাহ অনুষ্ঠানকে ঘিরে শুরু হয় নতুন তদন্ত। জানা গেছে, ৪ অক্টোবর শ্রীনগরে অনুষ্ঠিত ওই বিয়েতে সাহারানপুরেরই দুই সহকর্মী চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন। তাঁদেরই বুধবার জেরা করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
তদন্তে প্রকাশ, আদিলের বিয়ের পরদিন থেকেই জঙ্গি মডিউলটি সক্রিয় হয়ে ওঠে। তারা সেনাদের বিরুদ্ধে হুমকির পোস্টার ছাপায়, অস্ত্র সরবরাহের ব্যবস্থা করে এবং অর্থ জোগাড়ের নতুন পথ খোঁজে। পুলিশের অনুমান, চিকিৎসক পরিচয়ের আড়ালে আদিল তৈরি করেছিল অর্থ ও লজিস্টিক্স নেটওয়ার্ক।
ফরিদাবাদে তাঁর নির্দেশে ভাড়া নেওয়া এক গুদাম থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, দুটি একে-৪৭ রাইফেল, গুলি, ডেটোনেটর ও বিস্ফোরক তৈরির উপকরণ। ঘটনায় ইতিমধ্যেই আরও দুই চিকিৎসক পরভেজ আনসারি ও শাহিন শাহিদকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, গোটা নেটওয়ার্কটি ছড়ানো রয়েছে দিল্লি-এনসিআর, হরিয়ানা ও কাশ্মীর জুড়ে। তদন্ত এখন কেন্দ্রের সন্ত্রাস দমন সংস্থার হাতে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
