
প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে রাজধানীতে বড়সড় নাশকতার ছক ফাঁস করল গোয়েন্দারা। দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই দিনে ভিড়ের মধ্যে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা করেছিল এক জঙ্গি মডিউল। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছে তিন অভিযুক্ত উমর, মুজাম্মিল ও শাহীন। তদন্তে জানা গিয়েছে, এরা দিল্লির বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
সূত্রের খবর, অভিযুক্তরা কয়েক মাস ধরেই গোপনে পরিকল্পনা সাজাচ্ছিল। কোথায় হামলা চালালে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হবে, তা নির্ধারণের জন্য রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় রেকি করা হয়েছিল। বাইরে থেকে আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা পেয়েছিল বলেও জানা গিয়েছে। উদ্দেশ্য ছিল ২৬ জানুয়ারির অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে বিস্ফোরক তৈরির উপকরণ, মানচিত্র ও পরিকল্পনাসংক্রান্ত নথি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে, প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজকে কেন্দ্র করে প্রচুর মানুষের ভিড়ে তারা একাধিক বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা করেছিল। ঠিক সময়ে গোয়েন্দারা খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে পুরো চক্রটি ভেঙে দিতে সক্ষম হন।
এই ঘটনায় রাজধানীতে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এবং সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের গতিবিধির ওপর কড়া নজর রাখছে গোয়েন্দারা। পুলিশের সাফল্যে বড়সড় বিপর্যয় এড়ানো গেল বলে মনে করছে প্রশাসন। তবে তদন্তকারীদের মতে, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে আরও বড় নাশকতা চক্রের হদিস মিলতে পারে।
দেশজুড়ে এই ঘটনার পর সাধারণ মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেও নিরাপত্তা মহলে সতর্কতার সুর। গোয়েন্দা মহলের বক্তব্য, প্রজাতন্ত্র দিবসের মতো জাতীয় উৎসবে কোনওভাবেই ঢিলেমি দেওয়া চলবে না। দেশবিরোধী শক্তিকে মোকাবিলায় সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে নিরাপত্তা বাহিনীকে।
