
দিল্লিতে সাম্প্রতিক বিস্ফোরণের ঘটনার পর সতর্ক রাজ্য প্রশাসন। রাজ্যের জনপ্রিয় সমুদ্রতট দিঘা ও আশপাশের পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিশেষ করে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে গড়ে তোলা হয়েছে কড়া নিরাপত্তাবেষ্টনী। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের তরফে চালানো হচ্ছে লাগাতার তল্লাশি অভিযান।
বৃহস্পতিবার সকালে মন্দির চত্বরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন জেলা পুলিশ সুপার শুভেন্দু কুমার। মন্দিরে প্রবেশের প্রতিটি গেটে বসানো হয়েছে এক্স-রে ব্যাগেজ স্ক্যানার, মেটাল ডিটেক্টর ও সিসিটিভি ক্যামেরা। মন্দির প্রাঙ্গণের ভিতর ও বাইরে নজরদারি চালাচ্ছেন সশস্ত্র পুলিশকর্মীরা। ১ নম্বর থেকে ৬ নম্বর গেট পর্যন্ত প্রতিটি প্রবেশপথে চলছে তল্লাশি ও পরিচয়পত্র যাচাই।
দিঘা ছাড়াও মন্দারমনি, তাজপুর ও শঙ্করপুরের মতো জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রগুলিতেও বাড়ানো হয়েছে পুলিশি টহল। সমুদ্র উপকূলের প্রতিটি পয়েন্টে চলছে নাকা চেকিং। হোটেলে আগত পর্যটকদের পরিচয়পত্র খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে, সন্দেহজনক চলাফেরার উপর বিশেষ নজর রাখছে স্থানীয় পুলিশ।
নবান্নে রাজ্য পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে এই নিরাপত্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ডিজি রাজীব কুমারের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে রাজ্যের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র, ধর্মীয় স্থান ও জনবহুল এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রশাসনের মূল লক্ষ্য, যেকোনও ধরনের নাশকতা বা অশান্তি আগে থেকেই রুখে দেওয়া। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা জানিয়েছেন, পর্যটকদের নির্ভয়ে ঘুরতে দেওয়ার জন্যই এই বাড়তি সতর্কতা। শীতের মরশুমে বাড়তে থাকা পর্যটকের ভিড়ের কথা মাথায় রেখে নিরাপত্তার জাল আরও শক্ত করা হয়েছে দিঘা থেকে মন্দারমনি পর্যন্ত গোটা উপকূল জুড়ে।
