
পার্থ চট্টোপাধ্যায় জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর রাজ্য রাজনীতিতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে। তবে কালীঘাট থেকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখনও সাসপেন্ডেড নেতা। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ ওঠেছিল, তার তদন্ত এখনও চলছে। পার্থর কোনও সাফাই বা জামিন থাকা তাকে দলের সক্রিয় সদস্য করার যোগ্যতা দেয়নি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা যায়, পার্থকে নিয়েই মিডিয়ায় যে আলোড়ন, তাতে দলের অন্যান্য নেতা-কর্মীর মনোভাবও অপ্রত্যাশিতভাবে সতর্ক।
সাসপেনশন অনুযায়ী পার্থর ছয় বছরের দণ্ডের মধ্যে এখনও দুই বছর সাত মাস বাকি। তাই তাঁকে দলের কার্যক্রমে সম্পূর্ণভাবে যুক্ত করা যায়নি। কালীঘাট থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, পার্থের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ না আসা পর্যন্ত তাকে দলের কোনও পদে ফিরিয়ে আনা হবে না। এছাড়া পার্থর ব্যক্তিগত জীবন এবং বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে সংবাদমাধ্যমে যে বিতর্ক দেখা দিয়েছে, সেটাও দলের নজরে রাখা হচ্ছে।
জেলমুক্তির পর পার্থ সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন এবং বিধানসভায় যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তবে দলের অভ্যন্তরীণ মনোভাব অনুযায়ী, পার্থর বিধানসভায় যাওয়া নেতৃবৃন্দের জন্য কোনো স্বাচ্ছন্দ্য সৃষ্টি করবে না। তাঁর নাকতলার বাড়িতে উপস্থিতি ও মিডিয়ায় বিতর্কিত মন্তব্য পার্থকে রাজনৈতিকভাবে একাকী অবস্থানে রেখেছে।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে এটা স্পষ্ট যে পার্থর যেকোনো পদে পুনঃসংযুক্তি বা সক্রিয় ভূমিকা এখনো সম্ভব নয়। দল তাকে নির্দোষ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত রাজনৈতিকভাবে সীমিতভাবে গ্রহণ করবে। পার্থর ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর দলের নজর রাখা হচ্ছে। এই অবস্থায় রাজ্য রাজনীতিতে পার্থর প্রাসঙ্গিকতা ফেরাতে হলে তাঁকে কঠোরভাবে স্বচ্ছতা ও ধৈর্যের সঙ্গে পদক্ষেপ নিতে হবে।
এই পরিস্থিতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখনও বিধানসভায় উপস্থিত থাকলেও দলের সমর্থন সীমিত, এবং রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ পুরোপুরি নিশ্চিত নয়।
