
বিহার বিধানসভা নির্বাচনে ২০২৫-এর ফলাফল প্রকাশ্যে আসতেই দেখা গেছে এনডিএ-এর ঝুলিতে বড় জয়। বিশেষ করে মহিলাদের অংশগ্রহণ এবং তফসিলি জাতি, উপজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির সমর্থনই এই ফলাফলের মূল চালিকা শক্তি। রাজ্যের ইতিহাসে এবার ভোটদানের হার সর্বোচ্চ, যেখানে মহিলাদের অংশগ্রহণ পুরুষদের চেয়ে প্রায় ৯ শতাংশ বেশি।
এবারের ভোটে নীতীশ কুমারের সরকার মহিলাদের জন্য সরাসরি নগদ অর্থ বিতরণের প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে। রাজ্যের ৭০ লক্ষাধিক মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা করে পাঠানো এই প্রকল্প ভোটের আগে ক্ষমতা বিতরণ এবং জনভিত্তি শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে কার্যকর হয়েছে। এর সঙ্গে বিহারে মহিলাদের জন্য পঞ্চায়েতে ৫০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ, পুলিশে মহিলাদের বাধ্যতামূলক সংরক্ষণ এবং মদ নিষিদ্ধকরণসহ বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পও প্রভাব ফেলেছে।
এই নির্বাচনে শুধু মহিলা ভোট নয়, হিন্দু ভোটেরও তীব্র মেরুকরণ লক্ষ্য করা গেছে। লালু প্রসাদের যাদব ভোট ব্যাঙ্কে ধস পড়ায় বিজেপি উল্লেখযোগ্য সমর্থন পেয়েছে। এনডিএ-এর সমষ্টিগত কৌশল, প্রভাবশালী প্রকল্প এবং ভোটারদের আস্থা বিহারে বিজয় নিশ্চিত করেছে।
এবারের জয় শুধু রাজনৈতিক মানচিত্র পরিবর্তন করল না, বরং মহিলাদের ক্ষমতায়ন ও সামাজিক উন্নয়নের দিকেও গুরুত্বারোপ করল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নীতীশ কুমারের এই কৌশলগত পদক্ষেপ ভবিষ্যতের নির্বাচনে অন্যান্য রাজ্যেও প্রভাব ফেলতে পারে। বিহারের এই ফলাফল দেখাচ্ছে, সামাজিক প্রকল্পের সঙ্গে নির্বাচনী কৌশল মিলে গেলে ভোটারদের আস্থা কত দ্রুত এবং বড়ভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে।
এভাবে, ২০২৫-এর নির্বাচনে নীতীশ কুমারের সরকার মহিলাদের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে রাজ্যের রাজনৈতিক দৃশ্যপটকে নতুন দিক দিয়েছে এবং এনডিএ-এর প্রভাবকে আরও শক্তিশালী করেছে।
