
এসআইআর আতঙ্কের মধ্যে কাকদ্বীপ এলাকায় সিএএ সংক্রান্ত কার্যক্রম আবারও উত্তাপের কেন্দ্রে উঠে এসেছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহে বিজেপির উদ্যোগে বাসন্তী ময়দানে সি এ এ ক্যাম্প শুরু হয়, যা প্রশাসনের নির্দেশে বন্ধ করা হয়েছিল। এলাকায় নাগরিকত্ব সংক্রান্ত এই প্রচেষ্টা নিয়ে ইতিমধ্যেই ব্যাপক উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্কের পাশাপাশি ভিড়ও লক্ষ্য করা গেছে। বন্ধ হওয়া ক্যাম্পকে পুনরায় খুলতে প্রচেষ্টা চালিয়েছেন বিজেপির আইনজীবী নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টেব্রেয়াল। তার উপস্থিতিতে প্রায় শতাধিক মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে সি এ এ ফর্ম পূরণের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। এদিকে শাসক দল অভিযোগ তুলেছে যে, নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে নাগরিকত্ব প্রদানের চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ পরিস্থিতিতে প্রশাসনের সঙ্গে সংঘাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বিজেপি পক্ষের দাবি, তিনটি এফিডেভিটের জন্য নির্ধারিত অর্থের বাইরে অন্য কোনো টাকা নেওয়া হচ্ছে না। এতে করে সি এ এ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
কাকদ্বীপের এই ঘটনা সামাজিক ও রাজনৈতিক বিতর্কের দিকে ধাবিত করেছে। স্থানীয়রা বিভিন্ন দিক থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন, বিশেষত নাগরিকত্ব সংক্রান্ত তথ্যের নিরাপত্তা এবং সরকারি নির্দেশনা মানা নিয়ে। প্রশাসন এখনও বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে।
এছাড়াও এই ঘটনার মাধ্যমে হাইকোর্ট পর্যন্ত বিষয়টি যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক দ্বন্দ্বের মধ্যে কাকদ্বীপে সি এ এ কার্যক্রম নতুন মাত্রা পেয়েছে। এলাকার মানুষের মধ্যে সচেতনতা ও আগ্রহ উভয়ই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সামাজিক ও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এই পরিস্থিতি স্থানীয় রাজনীতি ও নাগরিকত্ব প্রক্রিয়ার উপর দীর্ঘমেয়াদে প্রভাব ফেলতে পারে।
এই ঘটনায় কাকদ্বীপের নাগরিকরা দায়িত্বশীলভাবে এবং সতর্কতার সঙ্গে সি এ এ প্রক্রিয়ায় অংশ নিচ্ছেন, যা এলাকায় বিতর্কিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
