
মুকুল রায়ের বিধায়কপদ খারিজ হওয়ায় রাজ্যের রাজনীতি নতুনভাবে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রের বিজেপি প্রাক্তন বিধায়ক মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে খারিজের রায় দেওয়ায়, বিধানসভা সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিধানসভা সচিবালয়ে চলছে আইনি প্রস্তুতি ও আলোচনা।
হাই কোর্টের রায় চ্যালেঞ্জ করার বিষয়টি নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে রাজ্যের রাজনৈতিক উত্তাপ বেড়েছে। বিধানসভা সূত্রের খবর, আপিলের আইনি ভিত্তি, সাংবিধানিক দিক ও রায়ের পরিধি সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত স্পিকারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যাতে সুপ্রিম কোর্টে কিভাবে রায় চ্যালেঞ্জ করা যায় তা নির্ধারণ করা যায়।
মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের মামলা করেছেন মূলত দুই বিজেপি বিধায়ক। ফলে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সম্ভাব্য সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আপিল করলে তা মূলত মুকুলকে রক্ষার প্রচেষ্টা হিসেবে ধরা হবে।
রাজনীতির ময়দানে ইতিমধ্যেই তৃণমূল ও বিজেপির সংঘাত আরও তীব্র হয়েছে। উভয়পক্ষই আইনি প্রস্তুতি জোরদার করছে। নজর এখন স্পিকারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে। যদি বিধানসভা সত্যিই সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে, তা রাজ্যের রাজনীতিতে নতুনভাবে উত্তাপ ছড়াবে এবং বিধায়কপদ সংক্রান্ত সংবিধানিক দিকগুলোও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসবে।
রাজ্যের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই মুহূর্তে সুপ্রিম কোর্টের পথে যাওয়া শুধু আইনি সিদ্ধান্ত নয়, বরং একটি রাজনৈতিক কৌশল হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে। মুকুল রায়ের ভবিষ্যৎ এবং বিধানসভার ক্ষমতা সংক্রান্ত বিষয়গুলো এখন সবার নজরের কেন্দ্রে।
মোটকথা, মুকুল রায়ের বিধায়কপদ খারিজের পর সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সম্ভাবনা রাজ্যের রাজনীতিতে নতুন করে উত্তাপ এবং বিতর্কের সূচনা করেছে।
