
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার দেশজুড়ে সব গণমাধ্যমকে কঠোরভাবে সতর্ক করেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমানে ফরার হিসেবে বিবেচিত শেখ হাসিনার কোনো বক্তব্য, নির্দেশনা বা বার্তা প্রচার না করার জন্য। জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা জানিয়েছে, হাসিনার নামে ছড়ানো বার্তাগুলো দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি, সামাজিক স্থিতি এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করতে পারে।
সংস্থার মতে, গণমাধ্যমের কোনো অংশ যদি ফরার বা দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির বক্তব্য প্রকাশ করে, তবে তা সাইবার সিকিউরিটি অর্ডিন্যান্সের বিভিন্ন বিধান লঙ্ঘন করতে পারে। আইন অনুযায়ী, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে এমন ডিজিটাল কন্টেন্ট সরিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা কর্তৃপক্ষের হাতে রয়েছে। এ ধরনের কন্টেন্ট ছড়ানো, ভুয়া পরিচয়ে অপপ্রচার চালানো বা নিষিদ্ধ তথ্য প্রচারের অপরাধে দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও আর্থিক জরিমানার বিধান রয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের এই সতর্কবার্তা এসেছে এমন সময়ে, যখন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গত বছর ছাত্রনেতৃত্বাধীন আন্দোলন দমনে সংঘটিত অপরাধে শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেছে। রায় ঘোষণার আগেই তিনি দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন এবং আদালত তাকে ফরার ঘোষণা করে। তার অনুপস্থিতিতেই বিচারকাজ ও রায় সম্পন্ন হয়।
সরকারের দাবি, সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে হাসিনার নামে যেসব বক্তব্য প্রচারিত হচ্ছে, সেগুলোর মাধ্যমে সহিংসতা, বিশৃঙ্খলা বা অস্থিতিশীলতা উসকে দেওয়ার চেষ্টা থাকতে পারে। সে কারণে গণমাধ্যমকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে এবং কোনো উসকানিমূলক বার্তা প্রচার থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা বজায় থাকবে, তবে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা ও সামাজিক স্থিতি ক্ষুণ্ণ করতে পারে এমন কোনো বার্তা প্রচার করলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
