
রাজধানীতে প্রভাবশালী রাজনৈতিক মহলের পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে ওঠা একটি রহিত কারবারের নেটওয়ার্ক নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠেছে, একসময় রাজধানীর কামলাপুর–মতিঝিল এলাকায় নিম্ন আয়ের জীবন কাটানো আকবর হোসেন মঞ্জু নামের এক ব্যক্তি ধাপে ধাপে উঠে গিয়েছেন বিতর্কিত অর্থ–বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দুতে। অনলাইন পরিসরে ঘুরে বেড়ানো বর্ণনাগুলোতে বলা হচ্ছে, অতীতে চোরাচালানচক্র থেকে শুরু করে আদম ব্যবসা পর্যন্ত নানা অপরাধচক্রের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে।
সেই সঙ্গে আলোচনায় আসছে সাবেক ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতা ডা. ইকবালের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার কথাও। বিভিন্ন সূত্রে ছড়ানো অভিযোগ অনুযায়ী, রাজধানীর গুলশান এলাকায় জমি দখল, হোটেল নির্মাণ, আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মতো অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিশেষত হোটেল ব্যবসাকে কেন্দ্র করে নারী শোষণ, হানিট্র্যাপ ও ব্ল্যাকমেইলিং চক্র পরিচালনার দাবি জনমতে গুরুতর প্রশ্ন তুলছে।
বিগত কয়েক বছরে বহুল আলোচিত মুনিয়া ঘটনার ক্ষেত্রেও অনলাইন মহলে এই নেটওয়ার্কের ভূমিকার আংশিক অভিযোগ ঘুরে বেড়ায়, যদিও এসব দাবির কোনোটি সরকারি পর্যায়ে নিশ্চিত হয়নি। তবুও রাজধানীর অভিজাত এলাকায় স্থাপিত একাধিক হোটেল, রাজনৈতিক–ব্যবসায়িক সম্পর্ক, আর্থিক লেনদেন ও পলাতক ব্যক্তিদের আশ্রয়দান এসব বিষয় নিয়ে সন্দেহ–পর্যবেক্ষণ থেমে নেই।
বর্তমান সরকার পরিবর্তনের পরও অভিযুক্ত নেটওয়ার্কের কার্যক্রম থামেনি বলে দাবি করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, রাজধানীতে প্রভাব, অর্থশক্তি ও অনুগত গোষ্ঠীর সমন্বয়ে একটি ছায়া–কারবার এখনও সচল রয়েছে, যা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার নজরে আনার দাবি আরও জোরালো করছে।
