
কাঁথি মহকুমায় শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক ‘গড়’ বলে পরিচিত এলাকায় সমবায় সমিতির নির্বাচনে তৃণমূল একচ্ছত্র প্রাধান্য দেখিয়েছে। সেপ্টেম্বরে সমবায় সমিতির ডেলিগেট নির্বাচনে ৫২টি আসনের মধ্যে ৪৮টিতেই তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা জয়ী হয়েছিলেন। এই বিপুল জয়ের পর পরিচালন সমিতির নিয়ন্ত্রণের দিকেও তৃণমূলের প্রাধান্য স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল।
পরবর্তী ধাপে পরিচালন সমিতির নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শাসকদলের প্রার্থীরা সময়মতো আবেদন জমা দিলেও বিজেপি বা অন্য কোনো বিরোধী দল মনোনয়নপত্র জমা দেননি। এর ফলে তৃণমূল সমর্থিত সকল প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ঘোষণা করা হয়। কাঁথিতে তৃণমূল কর্মী এবং সমর্থকরা আনন্দে ফেটে পড়েন। নির্বাচনের জয়কে তারা সাধারণ মানুষের আস্থা ও সমর্থনের প্রতিফলন হিসেবে দেখছেন।
বিরোধী দলের নিরবতা এবং মনোনয়নপত্র না দেওয়ার ঘটনা শুভেন্দুর নিজের এলাকায় বিজেপির সাংগঠনিক দুর্বলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে। যদিও বিরোধী দল এই ফলকে গুরুত্ব দিচ্ছে না, তবুও রাজনৈতিক মহলে এই একতরফা জয় নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীদের শুভেচ্ছা জানান ব্লক তৃণমূলের সভাপতি, ব্লক শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি এবং দারিয়াপুর অঞ্চলের সভাপতি। তারা জয়কে সাধারণ মানুষের আস্থা ও সমর্থনের ফল হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এই ফলাফল কাঁথিতে রাজনৈতিক ভারসাম্য এবং সমবায় সমিতির নিয়ন্ত্রণে তৃণমূলের প্রাধান্য নিশ্চিত করেছে।
শুভেন্দুর রাজনৈতিক ‘গড়’ এলাকায় বিজেপির কার্যত অনুপস্থিতি তৃণমূলের দাপটকে আরও দৃঢ় করেছে। তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীদের এই একক প্রাধান্য ভবিষ্যতে সমবায় সংস্থার নীতি ও পরিচালনায় বড় প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে।
কাঁথির সমবায় নির্বাচনে এই জয় তৃণমূলের স্থানীয় শক্তি ও সংগঠন ক্ষমতার পরিচয় দেয়, যেখানে বিরোধী দলের কোনো কার্যকর উপস্থিতি চোখে পড়েনি।
