
দিল্লির লালকেল্লা সংলগ্ন বিস্ফোরণের প্রধান অভিযুক্ত উমর উন নবীর একটি নতুন ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে, যেখানে তাকে আত্মঘাতী হামলার ধারণাকে বিকৃতভাবে ব্যাখ্যা করতে দেখা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ভিডিওটি বিস্ফোরণের আগে রেকর্ড করা হয়েছিল এবং এতে তিনি একা বসে তথাকথিত ‘মার্টিরডম অপারেশন’ নিয়ে নিজের ব্যাখ্যা তুলে ধরছিলেন। ভিডিও প্রকাশের পর মামলার তদন্ত আরও জটিল রূপ নিয়েছে।
নভেম্বর ১০ সন্ধ্যায় ধীরগতির একটি হুন্ডাই আই২০ গাড়ি রেড ফোর্টের কাছে সিগন্যালে হঠাৎ বিস্ফোরিত হয়। ঘটনাস্থলেই ১১ জনের মৃত্যু হয়। গাড়িটি বহুবার মালিকানা পরিবর্তনের পর সিএনজি ট্যাংক লাগিয়ে ব্যবহার করা হচ্ছিল। এনআইএ ফরেনসিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে নিশ্চিত করেছে যে বিস্ফোরণের সময় গাড়ির চালকের আসনে উমরই ছিলেন। সংস্থাটি প্রথমবার তাকে আত্মঘাতী হামলাকারী হিসেবে উল্লেখ করেছে এবং গাড়িটিকে ‘ভেহিকল-বোর্ন আইইডি’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
এনআইএ রোববার আরেক অভিযুক্ত জাসির বিলাল ওয়ানিকে গ্রেপ্তার করেছে, যিনি কাশ্মীরের বাসিন্দা এবং উমরের ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলে দাবি তদন্তকারীদের। এক বছর ধরে উমর তাকে বিভিন্ন স্থানে সমন্বিত আত্মঘাতী হামলার পরিকল্পনায় যুক্ত করেছিল বলে জানা গেছে। ওয়ানির মালিকানাধীন গাড়িতেই বিস্ফোরণ ঘটে। অপরদিকে, দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল পৃথক মামলা নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে, মডিউলটির বিস্তৃত জাল, বিস্ফোরকের উৎস এবং গাড়ি সংগ্রহের পদ্ধতি খতিয়ে দেখছে।
রেড ফোর্ট বিস্ফোরণের পরিপ্রেক্ষিতে রাজধানীতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং আদালত কমপ্লেক্সসহ একাধিক স্থানে বেনামী হুমকি পৌঁছানোর ঘটনার পর তদন্ত আরও তীব্র হয়েছে। ঘটনাটি দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর বড় ধরনের প্রশ্ন তুলে দিয়েছে, আর উমরের ভিডিও সেই জটিলতাকে আরও গভীর করছে।
