
এক প্রাক্তন মার্কিন গুপ্তচর প্রকাশ করেছেন যে, পাকিস্তানের পারমাণবিক প্রযুক্তি চুরির নেটওয়ার্কে এ কিউ খান জড়িত থাকায় পাকিস্তানের তখনকার রাষ্ট্রপতি পারভেজ মুশাররাফ অত্যন্ত ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন। মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইএ)-র সাবেক প্রধান জেমস ল’লারের বরাত দিয়ে জানা যায়, গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী খানের নেটওয়ার্ক লিবিয়া, ইরানসহ বিভিন্ন দেশে পাকিস্তানের পারমাণবিক প্রযুক্তি পাচার করছিল।
মুশাররাফ অবশেষে খানের উপর দীর্ঘ সময়ের জন্য গৃহবন্দী বিধান আরোপ করেন, যা নেটওয়ার্ককে আংশিকভাবে বন্ধ করতে সাহায্য করে। এ কিউ খান পাকিস্তানের পারমাণবিক বোমার পিতা হিসেবে পরিচিত। তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্রযুক্তি সংগ্রহ থেকে শুরু করে অন্য দেশের কাছে পারমাণবিক জ্ঞান ও সরঞ্জাম বিক্রির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মার্কিন গোয়েন্দা এই নেটওয়ার্কে পাকিস্তানের কিছু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগতভাবে জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছে।
ল’লার বলেন, এই নেটওয়ার্কের বিস্তার শুরুতে ধীরে হয়েছে কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন ভূ-রাজনৈতিক সংকটের মুখোমুখি ছিল। ৯/১১-এর পর লিবিয়ার ক্ষেত্রে সন্ত্রাসবিরোধী উদ্বেগ বাড়ায় কার্যক্রম ত্বরান্বিত হয়। সিআইএ বেশ কয়েকটি ষড়যন্ত্রমূলক প্রকল্প চালিয়ে নকল প্রযুক্তি সরবরাহ করেছিল, যাতে পারমাণবিক বিস্তার রোধ করা যায়।
এ কিউ খানের নেটওয়ার্ক শুধুমাত্র পারমাণবিক প্রযুক্তি নয়, ব্যালিস্টিক মিসাইল ও চীনা পারমাণবিক নকশা ছড়িয়েছিল। ল’লার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি হলে এটি মধ্যপ্রাচ্যে পারমাণবিক উত্তেজনা বাড়াতে পারে। মার্কিন গোয়েন্দাদের মতে, পাকিস্তানের পারমাণবিক সক্ষমতার প্রতি অন্ধদৃষ্টি রাখা হয়েছিল আফগানিস্তান ও অন্যান্য রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে।
এই তথ্যাবলি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও পারমাণবিক বিস্তারের ওপর গুরুত্বপুর্ণ প্রভাব ফেলেছে। এ কিউ খানের কার্যক্রম এবং পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক নিরাপত্তা নীতিতে এক নতুন দিক নির্দেশ ক
