
সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে অবশেষে হাজির হলেন রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর ছেলে সমুদ্র বসু। সোমবার দুপুর নাগাদ তিনি ইডি দফতরে পৌঁছন এবং তার পরই শুরু হয় কেন্দ্রীয় সংস্থার জেরা পর্ব। পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত ঘিরে বেশ কিছুদিন ধরে বসু পরিবার ইডির নজরে ছিল। গত সপ্তাহে তলব পেয়েও হাজিরা দেননি মন্ত্রীর স্ত্রী এবং ছেলে। পরে ব্যক্তিগত কাজের কারণ দেখিয়ে অন্য দিনের জন্য সময় চেয়েছিলেন সমুদ্র। এবার আর দেরি হয়নি, তদন্তকারীদের মুখোমুখি হলেন তিনি।
ইডি সূত্রে জানা গেছে, পুর নিয়োগে আর্থিক অনিয়মের যোগসূত্র এবং সম্ভাব্য অর্থের গতিপথ খুঁজতেই সমুদ্রকে প্রশ্ন করা হচ্ছে। এর আগে মন্ত্রীর কন্যা মোহিনী বসুও হাজিরা দেন। তাঁকে প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং বেশ কিছু নথি জমা দেন তিনি। আরও আগেই তলব করা হয়েছিল মোহিনীর স্বামীকে। ব্যবসায়িক লেনদেন এবং সম্ভাব্য অর্থপাচারের দিকগুলিই তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের কেন্দ্রে ছিল।
ইডির এই পরপর তৎপরতার পেছনে রয়েছে গত বছরের জানুয়ারিতে লেকটাউনে সুজিত বসুর দু’টি বাড়িতে হওয়া তল্লাশি। সেখান থেকে বাজেয়াপ্ত নথিপত্র এবং মোবাইল ফোন বিশ্লেষণ করতে গিয়েই তদন্ত একাধিক নতুন তথ্যের দিকে এগিয়েছে। এর পর সম্প্রতি আবার শহরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে থাকা বসু পরিবারের দফতর, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং খাদ্য সংস্থায় তল্লাশি চালায় ইডি। সমুদ্র বসুর সল্টলেকের কর্মস্থল এবং গোলাহাটার ধাবাতেও উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু নথি।
এই পরপর হাজিরা ও জেরা পর্বে রাজনৈতিক মহলেও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত আরও গভীরে পৌঁছচ্ছে বলে মনে করছে প্রশাসনিক মহলের একাংশ। ইডি জানিয়েছে, প্রয়োজন হলে আগামী দিনেও বসু পরিবারের আরও সদস্যকে তলব করা হতে পারে।
