
আজ দিনের শেষে এশিয়ার অধিকাংশ শেয়ারবাজার ইতিবাচক ধারায় লেনদেন সম্পন্ন করেছে। বাজারে আস্থা ও বৈশ্বিক প্রবণতার সমন্বয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আশাবাদ দেখা যায়। দক্ষিণ কোরিয়ার কোস্পি সূচক দিনভর শক্তিশালী লেনদেনের পর প্রায় ২.৭ শতাংশ এগিয়ে বন্ধ হয়, যা সাম্প্রতিক সপ্তাহের মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য উত্থান।
জাপানের নিক্কেই ২২৫ সূচকও গতি ধরে রেখে ১.৮ শতাংশের বেশি বেড়ে দিন শেষ করে। প্রযুক্তি ও রপ্তানিনির্ভর কোম্পানিগুলোর শেয়ারদরে পুনরুদ্ধারের লক্ষণ দেখা যাওয়ায় বাজারে জোরালো গতি ফেরে। একইভাবে সিঙ্গাপুরের স্ট্রেইটস টাইমস সূচক প্রায় ০.৪ শতাংশ উপরে উঠে স্থিতিশীল লেনদেনের ইঙ্গিত দেয়। হংকংয়ের হ্যাং সেন্গ সূচকও সামান্য ০.১ শতাংশ বৃদ্ধি পায়, যা বাজারে সামগ্রিক ইতিবাচক মনোভাবকে আরও স্পষ্ট করে।
তবে এ চিত্র থেকে খানিকটা ব্যতিক্রম ছিল চীনের সাংহাই কম্পোজিট সূচক, যা দিনের শেষে সামান্য ০.১ শতাংশের বেশি নিম্নমুখী হয়ে বন্ধ হয়। অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক তথ্য ও ক্ষেত্রবিশেষে চাপের কারণে সেখানে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক অবস্থান লক্ষ্য করা যায়।
এশিয়ায় দিনশেষের এই গতি বৈশ্বিক বাজারেও প্রতিফলিত হয়। ইউরোপের প্রধান সূচকগুলোও দিনজুড়ে ইতিবাচক অবস্থানে ছিল। ফ্রান্সের সিএসি ৪০ সূচক প্রায় আধা শতাংশ এগিয়ে লেনদেন করছিল। জার্মানির ডিএএক্স সূচক ০.২ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পায় এবং যুক্তরাজ্যের এফটিএসই ১০০ সূচকও প্রায় ০.২ শতাংশ যোগ করে শক্তপোক্ত অবস্থানে থাকে।
বিশ্ববাজারের সার্বিক ইতিবাচকতা বাজারে নতুন করে উচ্ছ্বাস ফিরিয়ে এনেছে। বিনিয়োগকারীরা মনে করছেন, আন্তর্জাতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা ও নীতিগত স্থিতিশীলতা বাজারকে আরও ধীরে ধীরে শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যাবে। যার ফলে সপ্তাহের বাকি দিনগুলোতেও বাজারে স্থিরতা বজায় থাকতে পারে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
