
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার মহেশতলা পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ১৭ নম্বর বুথে নির্ধারিত সময়সূচির মধ্যে ফরম সংগ্রহ ও ডিজিটাইজেশন সম্পূর্ণ না করায় এক বিএলওকে শোকজ করেছে নির্বাচন কমিশন। ফরম বিতরণ ও সংগ্রহের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা ফরিদা খাতুন মোট ৮১২টি ফরম বিলি করলেও প্রায় ৪৫০টি ফরম সংগ্রহের পর আর কাজে যোগ দেননি বলে অভিযোগ ওঠে। গুরুত্বপূর্ণ এই কাজ অসম্পূর্ণ থাকায় কমিশন তাঁর কাছ থেকে ব্যাখ্যা চেয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফরিদা খাতুন শেষবার বুথে কাজ করেন ২২ তারিখ। পরের দিন সকাল থেকেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে খবর পাওয়া যায়। অসুস্থতার কারণেই তিনি ২৩ তারিখ থেকে কাজ থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন এবং পরিবারের দাবি অনুযায়ী, দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক সমস্যা থাকায় তিনি আইসিডিএস–এর চাকরি থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন। তবে ফরম সংগ্রহের বিকল্প ব্যবস্থা না হওয়ায় কয়েকদিন ধরে স্থানীয় মানুষের চরম অসুবিধা হয়। বুথে গিয়ে তাঁরা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীকে না পেয়ে বারবার ফিরে আসতে বাধ্য হন।
এই পরিস্থিতিতে দায়িত্ব নেন সুপারভাইজার হংসরাজ বেরা। তিনি জানান যে, বিএলও কাজে অনুপস্থিত থাকার পর ফরম সংগ্রহ আমাকেই করতে হয়েছে এবং স্থানীয়দের ক্ষোভও সামলাতে হয়েছে। ইতিমধ্যেই সংগৃহীত ফরমগুলির একটি বড় অংশ ডিজিটাইজ করা হয়েছে। সুপারভাইজারের দাবি, ফরিদা খাতুন অনেকটাই কাজ করেছিলেন, তবে টানা দু–তিন দিন কাজে অনুপস্থিত থাকায় বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে এবং কমিশন শোকজ নোটিশ জারি করে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা ছিল তাঁদের জমা দেওয়া ফরম নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রসেস হবে কি না। তবে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, সুপারভাইজারের তত্ত্বাবধানে বাকি কাজ দ্রুত শেষ করা হবে। কমিশনের শোকজের জবাবের ভিত্তিতে ফরিদা খাতুনের ভবিষ্যৎ দায়িত্ব সম্পর্কেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
