
ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপজুড়ে টানা মৌসুমি বৃষ্টিপাতের ফলে মঙ্গলবার যে প্রবল বন্যা ও ভূমিধস দেখা দিয়েছে, তাতে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং এখনো ছয়জন নিখোঁজ রয়েছে। গত এক সপ্তাহের ভারী বৃষ্টিতে পাহাড়ি এলাকার নদীগুলো পানি উপচে পড়ে আশপাশের গ্রাম প্লাবিত করেছে। পাহাড় ধসে কাদা, পাথর ও গাছপালা বাড়িঘরের ওপর ভেঙে পড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
উত্তর সুমাত্রার ছয়টি জেলায় উদ্ধারকাজ চলছে, যদিও আবহাওয়া ও দুর্গম পথের কারণে উদ্ধারকারী দল দ্রুত পৌঁছাতে হিমশিম খাচ্ছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শহর সিবোলগায় অন্তত পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং তিনজন আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এখানকার পাহাড়ি এলাকায় ছয়টি বড় ধস ১৭টি বাড়ি ও একটি ক্যাফে ধ্বংস করেছে। আরও চারজন এখনো নিখোঁজ, তাদের খোঁজে অভিযান চলছে।
পাশের সেন্ট্রাল তাপানুলি জেলায় ভূমিধসে একই পরিবারের চারজনের মৃত্যু হয়েছে। বন্যায় ডুবে গেছে প্রায় দুই হাজারের বেশি বাড়িঘর। দক্ষিণ তাপানুলি এলাকায় গাছ উপড়ে পড়ে একজনের মৃত্যু এবং আরও একজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মানডাইলিং নাটাল জেলায় এক সেতু ভেঙে গেছে এবং নিআস দ্বীপের প্রধান সড়ক কাদা ও ধ্বংসাবশেষে বন্ধ হয়ে গেছে।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায় দ্রুতগতির পানি ঘরবাড়ির ছাদ বেয়ে নেমে আসছে এবং মানুষজন আতঙ্কে নিরাপদ স্থানে ছুটছে। অনেক এলাকায় পানির স্রোত এতটাই তীব্র ছিল যে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে রাস্তাঘাট নদীতে পরিণত হয়েছে।
ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং আরও বৃষ্টি হলে নতুন ধসের আশঙ্কায় লোকজনকে দ্রুত সরে যেতে বলা হয়েছে। মৌসুমি বর্ষার সময় অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ায় এমন বন্যা ও ভূমিধস প্রায়ই ঘটে, বিশেষত পাহাড়ি অঞ্চল ও নদীপাড়ের ঘনবসতিতে।
