
২০২৫ সালটা লক্ষ্য সেনের জন্য ছিল পরীক্ষার বছর। সুপার ৫০০ অস্ট্রেলিয়া ওপেনের শিরোপা জিতলেও তার পথটা সহজ ছিল না। মৌসুমের শুরুতেই পিঠের যন্ত্রণা আর একাধিক ছোটখাটো চোট তাকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তোলে। টানা রিহ্যাব আর অনুশীলন করেও ফিটনেসে ফিরে আসবেন কি না এই প্রশ্ন তাকে বারবার ভাবিয়েছে। প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে থাকা, শরীরের অস্বস্তি আর নিজের সেরাটা দিতে না পারার হতাশা তাকে কঠিন মানসিক পরীক্ষার মধ্যে ফেলেছিল।
তবুও বছরের শেষদিকে তিনি নিজের তাল খুঁজে পান। অস্ট্রেলিয়ায় ইউশি তানাকাকে হারিয়ে শিরোপা জয়ের পথে তার খেলায় চোখে পড়ে পুরনো ছন্দ। দীর্ঘ র্যালি, দুর্দান্ত ডিফেন্স আর সঠিক সময়ে আক্রমণ সব মিলিয়ে তিনি দেখিয়ে দেন, ফিটনেস হারালেও মানসিক দৃঢ়তা হারাননি। অনুশীলনে ডাইভ করা বা ঝাঁপ দেওয়া তিনি যতটা পারেন এড়িয়ে চলেন। কারণ দীর্ঘ ক্যারিয়ার টিকিয়ে রাখতে ঝুঁকি কমানোই লক্ষ্য। তবে কোর্টে পরিস্থিতি যখন বাধ্য করে, তখন স্বাভাবিক প্রবৃত্তিতে তিনি সেই ডাইভ করেই পয়েন্ট বাঁচান।
এই মৌসুমে তার সবচেয়ে কষ্টের হার ছিল হংকং ওপেনের ফাইনালে লি শিফেংয়ের বিপক্ষে। লম্বা র্যালিতে নিজেকে ধরে রাখলেও শেষ মুহূর্তে ম্যাচ হাতছাড়া হওয়াটা তাকে পুড়িয়ে দিয়েছে। তবুও সেই হার থেকে তিনি শিখেছেন চাপ সামলানোর নতুন পদ্ধতি। প্রতিটি পয়েন্টে মনোযোগ ধরে রাখা, স্কোরবোর্ড ভুলে শুধু খেলার ছন্দ বজায় রাখা এসব নিয়েই তিনি পুনরায় গড়ে তুলছেন নিজের মানসিক কাঠামো।
বছরের শেষদিকে শিরোপা জয় তার আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে এনেছে। চোট, সন্দেহ আর দীর্ঘ লড়াই পেরিয়ে লক্ষ্য সেন ধীরে ধীরে আবার আগের সেই দৃঢ় ও প্রাণবন্ত খেলোয়াড় হিসেবে ফিরে আসছেন। সামনের মৌসুমে তার লক্ষ্য আরও ধারাবাহিকতা এবং বড় টুর্নামেন্টে ছাপ রাখা।
