
সুন্দরবনে অল ইন্ডিয়া টাইগার এস্টিমেশনের অংশ হিসেবে বাঘ গণনার কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেছে বনদপ্তর। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে চলছে ক্যামেরা বসানোর প্রস্তুতি। দক্ষিণ ২৪ পরগনা আঞ্চলিক বনবিভাগ ও সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের অধীন বিস্তীর্ণ অরণ্যে মোট ৩২০টি ইনফ্রা-রে ক্যামেরা বসানো হবে। মাতলা রেঞ্জে ৪০টি, রায়দিঘী রেঞ্জে ১৪০টি এবং রামগঙ্গা রেঞ্জে আরও ১৪০টি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এই ক্যামেরা স্থাপনার কাজ চলবে, যেখানে তিনটি রেঞ্জ মিলিয়ে মোট ৯টি দল নিযুক্ত রয়েছে।
প্রায় ৪১০০ বর্গকিলোমিটার জুড়ে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের গতিবিধি নজরবন্দি করবে এই ক্যামেরাগুলি। বনদপ্তর জানিয়েছে, ৪৫ দিন ধরে তোলা ছবির ওপর ভিত্তি করেই এ বছরের বাঘ শুমারি সম্পন্ন হবে। শুধু বাঘের উপস্থিতি বা চলাফেরা নয় এবার প্রথমবার ক্যামেরার মাধ্যমে বাঘের খাদ্যসংস্থান, অর্থাৎ হরিণ, বুনো শুকরসহ অন্যান্য তৃণভোজী প্রাণীর সংখ্যাও পর্যবেক্ষণ করা হবে। এই বিশ্লেষণের জন্য তৈরি করা হয়েছে বিশেষ একটি অ্যাপ, যা ব্যবহার করবেন বনকর্তারা।
এই বিশাল কাজের জন্য আড়াইশোরও বেশি বনকর্মীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে। বনদপ্তরের দাবি, আগেরবার ক্যামেরায় বাঘের শিকার ধরার কৌশল, শাবকদের সঙ্গে মায়ের চলাফেরা এসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ধরা পড়েছিল। এবার আরও নতুন তথ্য উঠে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, দুই বছর আগে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিল ৯৬। সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী এখন সংখ্যাটি ১০০-র বেশি। বাঘ গণনা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে নির্দিষ্ট অভয়রণ্য এলাকায় পর্যটক ও মৎস্যজীবীদের প্রবেশ আপাতত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
