
আসানসোলের কুলটি এলাকায় ভোটার তালিকা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। লছিপুর ও চবকা অঞ্চলের নিষিদ্ধপল্লীতে দীর্ঘদিন ধরে বেশ কয়েকজন ভোটারের কোনও হদিশ মিলছে না। ২০০২ সালে ভোটার হিসেবে নাম থাকা বহু ব্যক্তি বর্তমানে ওই এলাকায় নেই বলে জানিয়েছেন মাঠপর্যায়ে কাজ করা ব্লক লেভেল অফিসাররা। বাড়ি বাড়ি ঘুরেও তারা কাউকে পাচ্ছেন না। অনেক বাড়ি তালাবন্ধ, আবার বহু পুরনো বাসিন্দার পরিবর্তে নতুন ভাড়াটিয়ারা এসে উঠেছেন, যাঁরা আগের বাসিন্দাদের সম্পর্কে কিছুই জানেন না।
একাধিক বুথে একই ছবি দেখা যাচ্ছে। কোনও বুথে ৮০ জনের বেশি ভোটারের খোঁজ নেই, কোথাও ৬০-৭০ জন করে ভোটার তালিকা থেকে কার্যত উধাও। নিষিদ্ধপল্লী হওয়ায় এলাকার বড় অংশ ভাসমান জনসংখ্যার বলে জানাচ্ছেন প্রশাসনিক কর্মীরা। তাদের ধারণা, কাজের কারণে বহু মানুষ অন্যত্র চলে গিয়েছেন অথবা নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে ভোট দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। ফলে কুলটিতে ফর্ম জমা দিচ্ছেন না।
এই পরিস্থিতিতে বিরোধী রাজনৈতিক দলের তরফে অভিযোগ উঠেছে যে তালিকায় বহু অস্তিত্বহীন নাম রয়ে গিয়েছে, যা নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে ব্যবহার হতে পারে। অন্যদিকে শাসক দলের দাবি, বহু মানুষের মৃত্যুর পর বা স্থান পরিবর্তনের ফলে স্বাভাবিকভাবেই এ ধরনের নাম বাদ পড়ে। স্থানীয়দের মতে, অঞ্চলটির প্রকৃতির কারণে বাসিন্দাদের আগমন-প্রস্থান লেগেই থাকে, ফলে ভোটার তালিকায় গরমিল দেখা দিচ্ছে।
নিখোঁজ ভোটারদের ব্যাপক সংখ্যার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন এলাকায় মাইকিং শুরু করেছে, যাতে সবাই বিএলওদের সঙ্গে সহযোগিতা করে এবং দ্রুত প্রয়োজনীয় ফর্ম জমা দেয়। ক্রমবর্ধমান অনিশ্চয়তার মধ্যে এই তালিকা সংশোধনের কাজকে ঘিরে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
