
রাজ্যের নয়া লোকায়ুক্ত হিসেবে দায়িত্ব পেলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্ত। সোমবার নবান্নে আয়োজিত লোকায়ুক্ত কমিটির বৈঠকেই তাঁর নাম চূড়ান্ত করা হয়। এতদিন এই দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য। নিয়ম মেনে প্রতি বছরের মতো এবারও নবান্ন থেকেই কমিটির সভার আয়োজন করা হয় এবং মুখ্যমন্ত্রীই বৈঠক পরিচালনা করেন।
কমিটির সদস্য হিসেবে বিরোধী দলনেতার উপস্থিতি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হলেও এবারও শুভেন্দু অধিকারী বৈঠকে যোগ দেননি। নবান্নের তরফে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ পাঠানো হলেও তাঁর অফিস থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। পরে জনসমক্ষে দাঁড়িয়ে তিনি স্পষ্ট করেন, বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন না এবং এই সিদ্ধান্তের পিছনে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান ও সরকারের প্রতি অসন্তোষের বিষয়টি তুলে ধরেন। বিরোধী দলনেতার দাবি, রাজ্যের প্রশাসনিক আচরণ সংবিধান ও ন্যায়শাসনের মূল কাঠামোকে দুর্বল করেছে, ফলে ওই বৈঠকে যোগ দিলে তা ভুল কর্মকাঠামোকে সমর্থন করার সমান।
শুভেন্দু আরও জানান, গত চার বছরে মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা একটিও প্রশাসনিক বৈঠকে তিনি উপস্থিত হননি। তথ্য কমিশনার নিয়োগ থেকে শুরু করে লোকায়ুক্ত গঠনের প্রক্রিয়া কোথাও তিনি অংশ নেননি। তাঁর মতে, বর্তমান সরকার সাংবিধানিক দফতরের প্রতি প্রাপ্য সম্মান দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে, তাই এই ধরনের আলোচনায় উপস্থিত থাকাও অর্থহীন।
এদিকে, নবান্নে বৈঠকের মধ্যেই বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তকে নতুন লোকায়ুক্ত হিসেবে নির্বাচিত করা রাজ্য প্রশাসনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বিভিন্ন দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগ, প্রশাসনিক স্বচ্ছতা এবং শাসনব্যবস্থাকে আরও কার্যকর করতে লোকায়ুক্তের ভূমিকা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। নতুন দায়িত্বে বিচারপতি সামন্ত কোন দিশা দেখান, এখন সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।
