
হাওড়া আবারও কেঁপে উঠল বোমা বিস্ফোরণের শব্দে। মঙ্গলবার দুপুরে শহরের ১০ নম্বর বোধন মিস্ত্রি লেনে ভয়াবহ বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হল বছর দশের এক নাবালক। বাড়ির ঠিক সামনেই কয়েকজন বন্ধু মিলে খেলছিল সে। প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, হঠাৎই একটি পটকা জাতীয় জিনিসে আগুন দিতেই বিকট শব্দে ঘটে বিস্ফোরণ। মুহূর্তের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে শিশু। তার ডান হাত ও ডান চোখে গুরুতর চোট লাগে।
শাবকের মা জানান, ঘরের মধ্যে বসে থাকার সময় হঠাৎ তীব্র শব্দ শোনেন তিনি। বাইরে বেরোতেই দেখতে পান, ছেলে মাটিতে পড়ে আছে এবং রক্ত ঝরছে। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাওড়া হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, শিশুটির হাতে বহু ক্ষত এবং চোখেও গুরুতর আঘাত রয়েছে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা চলছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকাজুড়ে দীর্ঘদিন ধরেই অসামাজিক উপাদানের আনাগোনা বাড়ছে। “এটা সাধারণ বাজির মত লাগেনি, বিস্ফোরণের শব্দ অনেক বেশি তীব্র,” জানান এক বাসিন্দা। অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, বিস্ফোরণে ব্যবহৃত বস্তুটি হয়তো শুধু পটকা নয়, আরও শক্তিশালী কিছু ছিল।
ঘটনার খবর পেয়েই ব্যাঁটরা থানার পুলিশ এবং হাওড়া সিটি পুলিশের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। বিস্ফোরণস্থলে উদ্ধার হওয়া অবশিষ্টাংশ পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে এটি সত্যিই পটকা নাকি তার আড়ালে অন্য কোনও বিস্ফোরক।
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়াও তীব্র হয়েছে। বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ বলেন, “এই রাজ্যে মানুষের নিরাপত্তা বলে কিছু নেই। সবকিছুর জন্য পটকা বলে এড়ানো যায় না।” অন্যদিকে তৃণমূল মুখপাত্র তন্ময় ঘোষ জানান, “দোষী যে-ই হোক, দল-মত নির্বিশেষে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।”
এক মাস আগেই বীরভূমে একইভাবে আরেক নাবালকের হাতের আঙুল উড়ে গিয়েছিল। ফের সেই দৃশ্য পুনরাবৃত্তি। এলাকার বাসিন্দাদের প্রশ্ন এভাবে রাস্তায় বোমা বা বিপজ্জনক বিস্ফোরক পাওয়া গেলে শিশুদের নিরাপত্তা কোথায়? তদন্তের রিপোর্টই এখন আশার আলো।
