
এসআইআর ইস্যুকে ঘিরে বাংলার রাজনীতি আরও তপ্ত হয়ে উঠেছে। মৃত বা ‘ভূতুড়ে’ ভোটার বিতর্কে নতুন করে শান দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর মন্তব্য “দুয়ারে সরকার, কবরে ভোটার” নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া। এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করেই তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের পাল্টা তির, যা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে উত্তাপ।
পায়ে প্লাস্টার নিয়ে হাসপাতাল থেকেই ভিডিও বার্তায় কুণালের কটাক্ষ, “শমীক বাংলা শব্দের খেলায় পারদর্শী হলেও স্লোগান ভুল এটা শুধু ‘দুয়ারে সরকার, কবরে ভোটার’ নয়, সঙ্গে যোগ হবে ‘মঙ্গলগ্রহে বিজেপি’!” কুণালের দাবি, বিজেপি নিজেদের বক্তব্যের সঙ্গে বাস্তবের মিল খুঁজে না পেয়ে এখন ভূতুড়ে ভোটারের গল্পে ভরসা রাখছে। তিনি বিদ্রুপ করে বলেন, “ভোটের দিন নাকি কবর থেকে ভোটার উঠবে! তাই যাঁরা প্রিসাইডিং অফিসার থাকবেন, ভয় থাকলে ওঝা নিয়ে আসবেন।”
তৃণমূল মুখপাত্র এখানেই থামেননি। সাংগঠনিক দুর্বলতার অভিযোগ তুলে কুণালের মন্তব্য, “বুথে আপনারা বিএলএ-টু রাখেন। তাঁরা আপত্তি তুললেন না কেন? স্পট থেকে লাইভ করলেন না কেন? কারণ সহজ লোক নেই, সংগঠন নেই। তাই নাটক করে মৃত ভোটারের গল্প শোনানো হচ্ছে।”
অন্যদিকে, কমিশনের রিপোর্ট বলছে রাজ্যের ৮০ হাজারের বেশি বুথে ফর্ম বিলি ও ডিজিটাইজেশনের কাজ চলাকালীন প্রায় ২,২০৮টি বুথে একটিও ফর্ম ফেরত আসেনি; অর্থাৎ বিলি ও রিটার্নের সংখ্যা একই। এই অস্বাভাবিকতা খতিয়ে দেখতে ১৩ জন বিশেষ পর্যবেক্ষক পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
বিজেপির অভিযোগ এসআইআর মানছে না তৃণমূল, উলটে চাপ দেওয়া হচ্ছে বিএলওদের ওপর। পাল্টা তৃণমূলের বক্তব্য, ডিজিটাইজেশনের পরেই প্রমাণ হয়েছে ‘মৃত ভোটার’ তত্ত্বের ভিত্তি নেই।
এই সমস্ত মন্তব্য–পাল্টা মন্তব্যের মাঝেই রাজনীতির পারদ আরও চড়ছে। কুণালের শেষ মন্তব্যই যেন তার সাক্ষ্য “লোক নেই, তাই মুখে মারিতং জগত! নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা।”
