
মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় ‘বাবরি মসজিদ’ নির্মাণ নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ছে। বছরখানেক আগে ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর ঘোষণা করেছিলেন, বেলডাঙাতেই তৈরি হবে বাবরি মসজিদ এবং আগামী ৬ ডিসেম্বর শিলান্যাস করবেন তিনি। লক্ষাধিক মানুষের সমাগমের প্রত্যাশাও ছিল তাঁর। কিন্তু শিলান্যাসের মাত্র কয়েকদিন আগে জমি-সংক্রান্ত জটিলতা প্রকট হয়ে ওঠায় পরিস্থিতি নতুন মোড় নিয়েছে।
বেলডাঙার যে জমিতে শিলান্যাস হওয়ার কথা ছিল, দিন কয়েক আগে সেটি ঘিরে দেন জমির মালিক নিজামুদ্দিন চৌধুরী। তাঁর দাবি, জমিটি ফাঁকা থাকায় অনেকে মনে করেন এখানেই মসজিদ হবে, কিন্তু তিনি এই পরিকল্পনার সঙ্গে একমত নন। তাঁর বক্তব্য, “নতুন মসজিদ তৈরির আগে মুসলিম সমাজের খোঁজ নেওয়া হোক, আশেপাশের পুরনো মসজিদগুলোর উন্নয়ন করা হোক।”
এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যেই সোমবার হঠাৎই হুমায়ুন কবীরকে দেখা যায় কান্দি থানার জীবন্তী এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিনি বেলডাঙার বিকল্প জায়গা হিসেবে সেখানে একটি জমি পরিদর্শন করেন। তবে পরিদর্শনের পরই তিনি জানান, জায়গাটি তাঁর পছন্দ হয়নি। তাঁর কথায়, “এত লোকালয়ে এমন কাজ করা যায় না। জমি আমার পছন্দ নয়।”
তবে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে তিনি বারবার জোর দিয়ে বলেন, বেলডাঙাতেই হবে বাবরি মসজিদ। কান্দিতে জমি দেখতে যাওয়া প্রসঙ্গে তাঁর ব্যাখ্যা, “বেলডাঙায় আমার জায়গা আছে। তবে এখানকার মানুষ অনুরোধ করায় দেখতে এসেছি।”
শিলান্যাসের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে এলাকাজুড়ে। স্থানীয়দের মধ্যেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া একাংশ নতুন মসজিদ নির্মাণকে সমর্থন করলেও অন্য অংশের মতে, প্রথমে বিদ্যমান মসজিদগুলির উন্নয়ন হওয়া উচিত। জমি মালিকের আপত্তি ও প্রশাসনিক স্পষ্ট বার্তার অভাবে এখনো নিশ্চিত নয় ৬ ডিসেম্বরের অনুষ্ঠান সফলভাবে করা যাবে কি না।
সব মিলিয়ে বেলডাঙায় ‘বাবরি মসজিদ’ প্রকল্পকে ঘিরে অনিশ্চয়তা আগের চেয়ে অনেক বেশি ঘনীভূত হয়েছে।
