১৫০ বছর পুরনো পুজোর তৃতীয় বছর। শুনে অবাক হচ্ছেন? হ্যাঁ। প্রায় ১৫০ বছর আগে থেকে এই পুজো হয়ে আসছে। তবে মাঝে এই মন্দির পুরে গিয়েছিল যার ফলে বন্ধ ছিলো পুজো। তারপর দু বছর আগে ফের পুজো শুরু হয় জলপাইগুড়ি জেলার শিকারপুরের দেবী চৌধুরাণী ও ভবানী পাঠক মন্দিরের বার্ষিক পুজো। এবার তার তৃতীয় বছর। চা বাগান ঘেরা ছোট্ট গ্রামে ঐতিহাসিক দেবী চৌধুরানী মন্দির। ইতিহাস এবং কিংবদন্তি এখানে মিলেমিশে একাকার। তার উপর বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস আনন্দমঠ-এ যে ভবানী পাঠক এবং দেবী চৌধুরানীর যে উল্লেখ রয়েছে, স্থানীয় মানুষরা মনে করেন এ দেবী চৌধুরানী, সেই দেবী চৌধুরানীই। এমনকী উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের যাদুঘরে একটি বজরা সংরক্ষণ করা রয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, এটি দেবী চৌধুরানীর বজরা। যদিও সেটা নিয়ে প্রামাণ্য পৌঁছতে পারেননি এখনও পর্যন্ত গবেষকরা, তবু বিশ্বাসেই তো মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর। চা বাগান ঘেরা এই জায়গায় আছে পাশাপাশি দু’টি মন্দির। একটি কালীমন্দির। লাগোয়া মন্দিরটিতে আছে একটি পুরুষ ও নারী মূর্তি। তাদের ঘিরে আছে বাঘ, শিয়াল ও আরও কিছু বিগ্রহ।
ঐতিহাসিকরা মনে করেন এটি শিব-পার্বতীর মূর্তি। তবে স্থানীয়দের বিশ্বাস, এই দু’টি বিগ্রহ ভবানী পাঠক এবং দেবী চৌধুরানীর। মন্দিরের পুরোহিত হারাধন ব্যানার্জি বলেন, ‘খিচুড়ি ভোগ খাওয়ানো হবে। শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, ময়নাগুড়ি, ধূপগুড়ি থেকে শুরু করে বাইরে থেকেও অনেকে আসেন মন্দিরে। সকলের জন্যই থাকে খিচুড়ি ভোগের আয়োজন। চা বাগানের সমস্ত স্টাফ, ম্যানেজার ও শ্রমিকরা আসেন।’
বেলাকোবার শিকারপুর থেকে রূপালি দে সরকার প্রতিবছর আসেন এই পুজোয়। তাঁর বক্তব্য, ‘ঐতিহ্যবাহি মন্দিরে বাৎসরিক পুজো হলো রবিবার সকাল থেকে। আশেপাশের অনেকে আসেন। এই পুজো জনপ্রিয়। তাই সকলের কাছে খুব আবেগের।
