পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লকের কালেখাতলায় ভোটার তালিকা নিয়ে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক। বিজেপির অভিযোগ, তাদের সমর্থকদের ভোটাধিকার খর্ব করতে ষড়যন্ত্র করছে তৃণমূল। পরিকল্পিতভাবে ৭ নম্বর ফর্ম জমা দিয়ে শতাধিক বিজেপি সমর্থকের নাম বাদ দেওয়ার ছক কষা হয়েছে। অন্যদিকে, তৃণমূলের দাবি, বহু ভুয়ো ভোটারের নাম ভোটার তালিকায় থাকায় তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক পদক্ষেপ চাওয়া হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত ধীতপুর গ্রামের ১৯০ ও ১৯১ নম্বর বুথকে ঘিরে। এই দুটি বুথে বিজেপির শক্ত ঘাঁটি থাকায় সেখানে প্রায় ১০০ জন বিজেপি সমর্থকের ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দিতে চেয়ে প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়েছে। বিজেপির দাবি, তৃণমূল রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের সমর্থকদের ভোটাধিকার কেড়ে নিতে চাইছে। অধিকাংশ মানুষ দিনমজুর, কেউ বা পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে ভিনরাজ্যে কাজ করেন। ফলে, এলাকায় অনুপস্থিত থাকাকে হাতিয়ার করেই তৃণমূল এই চক্রান্ত করছে বলে অভিযোগ বিজেপির।
তবে এই অভিযোগকে উড়িয়ে তৃণমূল বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এলাকায় বহু ভুয়ো ভোটার রয়েছে, যাদের নাম দু’পার বাংলার ভোটার তালিকায় নথিভুক্ত। আমরা শুধুমাত্র বৈধ ভোটারদের তালিকা থেকে অবৈধদের নাম বাদ দেওয়ার জন্য আবেদন করেছি। এখানে বিজেপির অভিযোগ ভিত্তিহীন।” প্রশাসনও জানিয়েছে, নিয়ম মেনে তদন্ত হবে। কোনো প্রমাণ ছাড়া বৈধ ভোটারের নাম কাটা হবে না।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই শিবিরের রাজনৈতিক তরজা চরমে। বিজেপির দাবি, তৃণমূল ভোট লুঠের পরিকল্পনা করছে। অন্যদিকে, তৃণমূল পাল্টা অভিযোগ তুলছে, বিজেপি ভুয়ো ভোটারদের আশ্রয় দিয়ে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে চাইছে। আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পূর্বস্থলীর রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এই সংঘাতের শেষ কোথায়, তা বলবে সময়।