বাংলাদেশের সীমান্তঘেঁষা এলাকায় চীন এক বিশাল আকাশঘাঁটি নির্মাণের পরিকল্পনা করছে—এমন খবর ছড়িয়ে পড়তেই ভারতের কূটনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। জানা যাচ্ছে, এটি ‘চিকেনস নেক’ এর আশেপাশে স্থাপন করা হতে পারে, যেখানে ৭০টিরও বেশি যুদ্ধবিমান একসাথে ওঠানামা করতে পারবে। ঘাঁটিটি মূলত তিনটি অংশে ভাগ করা হবে—যুদ্ধাভিযান, রক্ষণাবেক্ষণ ও গবেষণার জন্য।
অভ্যন্তরীণ প্রশাসনের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের এক বৈঠকে এই প্রকল্পের দিকনির্দেশনা হয়েছে বলে শোনা গেলেও, এখনও পর্যন্ত কোনও প্রামাণ্য নথি সামনে আসেনি। এমনকি এ নিয়ে দুই নেতার মধ্যে আলোচনা হয়েছে কি না, সেটাও নিশ্চিত নয়।
এইসব তথ্যের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও, বাংলাদেশ-চীন-পাকিস্তান সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা যে ভারতের জন্য অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তা বলাই বাহুল্য। এমন পরিস্থিতিতে, ভারত অতীতেও মানবিক সহায়তা দিয়ে বাংলাদেশের পাশে থেকেছে।
বিশ্বরাজনীতির টানাপোড়েনে বাংলাদেশ যেন নতুন একটি অধ্যায়ে প্রবেশ করতে চলেছে। বিভিন্ন সূত্রের দাবি, চলতি বছরের শেষভাগেই একটি বড় পরিসরের সামরিক অবকাঠামো প্রকল্পের কাজ শুরু হতে পারে দেশের একটি সীমান্তবর্তী অঞ্চলে। এতে অংশীদার হিসেবে যুক্ত হয়েছে পাকিস্তানের একটি প্রভাবশালী সংস্থা, যা ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি পর্বে সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে।
অভ্যন্তরীণ সূত্রে আরও জানা গেছে, আগামী ১৭ এপ্রিল ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এই প্রকল্প নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হতে পারে। ওই দিন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র দপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন পাকিস্তানের প্রতিনিধিরা। সেখানে প্রতিরক্ষা, অর্থনীতি, বাণিজ্য ও কৌশলগত সহযোগিতা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি, এই সম্ভাব্য নির্মাণ প্রকল্প নিয়েও গভীর মতবিনিময় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই বৈঠকটি শুধু দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারের নয়, বরং দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-কৌশলগত সমীকরণেও বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ভারসাম্যে একটি নতুন মাত্রা যুক্ত হবে নিঃসন্দেহে।