আসন্ন মঙ্গলবার ইডেন গার্ডেন্সে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে লখনউ সুপার জায়ান্টস। সূত্রের দাবি, হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে যে পিচে দারুণ খেলেছিল কেকেআর, সেই একই উইকেটে আবার মাঠে নামার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল তারা লখনউ ম্যাচেও। নাইট শিবিরের মতে, সেই পিচে ব্যাট-বল দুই বিভাগের ভারসাম্য ছিল চমৎকার। তবে কিউরেটর তাঁদের সেই অনুরোধ মানেননি।
নিয়ম, আবহাওয়া ও পিচের অবস্থা বিবেচনায় এনে তিনি সম্পূর্ণ ভিন্ন সিদ্ধান্ত নেন। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত হয়, ইডেনের চতুর্থ পিচেই হবে লখনউ সুপার জায়ান্টস বনাম কেকেআর ম্যাচ। মাঠের পেছনের পরিকল্পনা এবং আইপিএলের নিয়ম অনুসারে, কিউরেটরের সিদ্ধান্তেই নির্ধারিত হয়েছে কোন উইকেটে খেলা হবে, দলীয় পছন্দ সেখানে প্রাধান্য পায়নি।
আইপিএলের নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসারে একই পিচে টানা ম্যাচ খেলাতে হলে অন্তত সাত দিন বিরতি থাকা বাধ্যতামূলক। বর্তমান তাপপ্রবাহে পুরনো পিচ ব্যবহারে ক্রিকেটারদের চোটের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তাই নতুন পিচ বেছে নেওয়া হয়েছে—যেখানে থাকবে হালকা টার্ন, তবে ব্যাটারদের জন্যও স্কোর করার সুযোগ থাকছে।
লখনউ সুপার জায়ান্টসের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য শাহবাজ আহমেদ ম্যাচ-পূর্ব সাংবাদিক সম্মেলনে পিচ প্রসঙ্গে কিছুটা ইঙ্গিত দিয়েছেন। তাঁর বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, ইডেনের উইকেটে বল ব্যাটে পুরোপুরি আসবে না—একটু থেমে আসার সম্ভাবনা থাকছে। তবে ব্যাটারদের জন্য এটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে না।
কারণ, উইকেটে সামান্য স্পিন থাকলেও রান তুলতে বিশেষ অসুবিধা হবে না বলেই মনে করেন তিনি। ফলে, স্পিনাররা কিছুটা সাহায্য পেলেও, ব্যাটারদের জন্যও থাকবে পর্যাপ্ত সুযোগ।
অন্যদিকে, কলকাতা নাইট রাইডার্সের ইচ্ছার প্রেক্ষিতে পিচ পরিবর্তনের সিদ্ধান্তে কোনও রকম প্রভাব পড়েছে কিনা, তা নিয়ে শুরু হয়েছিল নানা গুঞ্জন। অনেকেই ধারণা করেছিলেন, নাইটদের অনুরোধে হয়তো কিউরেটর নির্দিষ্ট ধরনের উইকেট তৈরি করতে বাধ্য হয়েছেন।
তবে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের এক উচ্চপদস্থ সূত্র স্পষ্ট করে জানিয়েছে, কিউরেটরের সিদ্ধান্তে কোনও হস্তক্ষেপ করা হয়নি। ইডেনের পিচ প্রস্তুতির ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে মাঠ কর্তৃপক্ষের হাতে, এবং সেই সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই নতুন পিচে ম্যাচ আয়োজিত হচ্ছে।