মে মাসের মাঝামাঝি কালীগঞ্জসহ দেশের ৮ বিধানসভা উপনির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ
সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়
নদিয়ার কালীগঞ্জসহ দেশের আসন্ন আটটি বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রতি বুথে সর্বোচ্চ ভোটারের উর্ধ্বসীমা কমানো হল। করোনা পূর্ববর্তীকালে এমনকি করোনা পরবর্তীতেও নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী একটি বুথে সর্বোচ্চ ১৫০০ ভোটার ভোট দিতে পারতেন। কোন বুথে ১৫০০-র বেশি ভোটার থাকলে সেক্ষেত্রে অক্সিলারি বুথ গঠন করা হয়েছে। আসন্ন উপনির্বাচনগুলিতে এই ১৫০০ ভোটারের সর্বোচ্চ সীমা কমিয়ে ১২০০ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। অর্থাৎ কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে একটি বুথে ১২০০ ভোটার ভোট দিতে পারবেন। কোনও বুথে ১২০০-র বেশি ভোটার থাকলে সেক্ষেত্রে অক্সিলারি বুথ করা হবে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল জানিয়েছেন ” ভোট বুথের ভোটার সংখ্যার সর্বোচ্চ সীমা কমে যাওয়ার ফলে কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে আরো ৪৮ টি বুথ সংযুক্ত হয়েছে। কালীগঞ্জে ২৪৮ থেকে বেড়ে বুথের সংখ্যা হয়েছে ৩০৯।” যদিও কালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ চলছে। তবু এখনো পর্যন্ত যা পরিস্থিতি তাতে চার থেকে পাঁচটি ভোট কেন্দ্রে অক্সিলারি বুথ তৈরি করা হতে পারে বলে নির্বাচনে আধিকারিকের ধারণা। আপাতত এই নীতিতেই আগামী দিনে নির্বাচন পরিচালনা করতে চায় নির্বাচন কমিশন বলে সরকারি সুত্রে খবর।
এদিকে, কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে ইতিমধ্যেই ইভিএম ও ভিভি প্যাটের প্রথম দফার চেকিংয়ের কাজ সম্পূর্ণ করেছে নির্বাচন কমিশন। যেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের স্বীকৃত সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী ফার্স্ট লেভেল চেকিং হওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার কথা। সেই মোতাবেক নির্বাচন কমিশনের কর্তারা জানাচ্ছেন আগামী ১৫ মে এর মধ্যে কালিগঞ্জ বিধানসভাসহ দেশের ৮টি বিধানসভা উপনির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। অতএব নির্বাচনী নিয়মাবলী মেনেই জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে বলে কমিশন সূত্রে খবর। সে কারণেই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করতে অন্যান্য সাধারণ নির্বাচনের মতই এই উপনির্বাচনের ক্ষেত্রেও কোন কার্পণ্য করতে রাজি নয় নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় আইনের রুট মার্চ থেকে ইভিএম চেকিং বা ভোট বুথের নিরাপত্তা সব ক্ষেত্রেই বজ্র আঁটুনি বজায় রাখতে চায় কমিশন।